
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলের পক্ষে কাজ করা পপুলার ফ্রন্টের প্রধান নেতা ইয়াসের আবু সাবাব নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে বেদুইন উপজাতির ইয়াসের আবু সাবাব জেল থেকে পালিয়ে যান। তিনি মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের কারণে কারাগারে বন্দি ছিলেন। এরপর রাফাতে তিনি ইসরাইলদের ‘দোসর’ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ত্রাণ চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ইয়াসের আবু সাবাবের মৃত্যুর তথ্য জানায় ইসরাইলের বিভিন্ন মিডিয়া।
গত অক্টোবরে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর ইয়াসের আবু সাবাবকে হত্যা বা জীবিত গ্রেপ্তার করতে নিজ যোদ্ধাদের নির্দেশ দেয় হামাস। তার মৃত্যু হামাসের জন্য বেশ ভালো খবর।
গত জুনে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেন গাজায় হামাসবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা অস্ত্র দিচ্ছেন। যারমধ্যে ইয়াসেরের পপুলার ফ্রন্ট ছিল। তবে হামাস বিরোধী সংগঠনকে অস্ত্র দেওয়ার নীতির বিস্তারিত জানায়নি ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির পর গাজার রাফা অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ইসরাইল। ইয়াসের সেখানেই তার বাহিনী পরিচালনা করছিলেন। যুদ্ধবিরতির পরও রাফা এখনো উত্তপ্ত রয়েছে। সেখানে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। গত ১৮ নভেম্বর ইয়াসের তার ফাইটারদের ‘রাফা সন্ত্রাসী মুক্ত’ করার নির্দেশ দেন। মূলত হামাস যোদ্ধাদের সেখান থেকে নির্মূলের কথা বলেছিলেন তিনি। রাফার বিভিন্ন সুড়ঙ্গে ১০০ থেকে ২০০ হামাস যোদ্ধা আটকা পড়ে আছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে ইসরায়েল হত্যা করেছে।
ইসরাইল আর্মি রেডিও জানিয়েছে, ইয়াসের আবু সাবাব আহত অবস্থায় দক্ষিণ ইসরাইল সোরোকা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য অস্বীকার করেছে। ইসরাইল এ দোসরের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন