
মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে আজ (শুক্রবার, ১৪ জুমাদাস সানি, ৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের ইমামতি করবেন ও খুতবা দেবেন যারা, তারা হচ্ছেন প্রখ্যাত দুই শায়খ । মসজিদে হারাম কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।
আজ মসজিদে হারামে জুমার নামাজ পড়াবেন সুপ্রসিদ্ধ ইসলামিক স্কলার শায়খ ড. বানদার বালিলাহ। তিনি প্রায় এক দশক যাবত মসজিদে হারামের ইমাম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
শায়খ বালিলাহ ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবের মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামি আইনে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং ইসলামি ফিকহে মাস্টার্স করেন। ২০০৮ সালে তিনি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।২০১৩ সালে শায়খ বানদার বালিলাহ মসজিদে হারামের ইমাম নিযুক্ত হন। এর আগে মক্কার আরও কিছু মসজিদে তিনি ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মসজিদে নববিতে আজ জুমার নামাজ পড়াবেন মদিনার প্রসিদ্ধ ইমাম, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও খতিব শায়খ ড. হুসাইন ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখ। তিনি মদিনার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির দায়িত্বও পালন করছেন।
বিচারপতি শায়খ হুসাইন ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখ বনি তামিম গোত্রের শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের বংশধর। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী শায়খ হুসাইন প্রাথমিক শিক্ষা শেষে আশ-শারইয়া কলেজ থেকে স্টার মার্ক পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। উচ্চতর পড়াশোনায়ও তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। শায়খ হুসাইন আলুশ শায়খ ইসলামিক আইনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। ইসলামি আইন শাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি সমাজকর্মসহ আইন শাস্ত্রের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে বিচারপতি শায়খ হুসাইন ১৪০৬ হিজরিতে মদিনার বিচার বিভাগীয় সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৪১১ হিজরিতে তিনি নাজরানের হাইকোর্টে যোগ দেন। নাজরানে এক বছর থাকার পর ১৪১২ হিজরিতে মদিনার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এখনো তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন।
বিচারপতি হওয়ার পর শায়খ হুসাইন আলুশ শায়খ ১৪১৮ হিজরিতে মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। সৌদি আরবের বাদশাহ খাদেমুল হারামাইন আশ-শরিফাইন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন।
মন্তব্য করুন