
		ক্যানসার—এই শব্দটাই অনেকের মনে ভয় ঢেলে দেয়। আমরা জানি, বায়ুদূষণ, ধূমপান বা মদ্যপানের মতো কারণেই সাধারণত এই মরণব্যাধির ঝুঁকি বাড়ে। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আমাদের রান্নাঘরের কয়েকটি দৈনন্দিন অভ্যাসও ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। অজান্তেই কিছু সাধারণ ভুল আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নিই এমন কিছু অভ্যাস, যেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো—
রুটি সরাসরি আগুনে সেঁকা অনেকে তাওয়ার বদলে গ্যাসের শিখায় সরাসরি রুটি সেঁকে নেন, যাতে দ্রুত ফুলে ওঠে। কিন্তু এভাবে সেঁকার সময় ‘অ্যাক্রিলামাইড’ নামে এক ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়, যা ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
একই তেল বারবার ব্যবহার অনেকে তেল বাঁচাতে একবার ব্যবহৃত তেল আবার ব্যবহার করেন। কিন্তু একই তেল বারবার গরম করলে তাতে ট্রান্স ফ্যাট ও ফ্রি র্যাডিকেল তৈরি হয়, যা শরীরের কোষে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে। এর ফলে হৃদরোগের পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
ডাল বা শস্য না ধোওয়া বা না ভিজিয়ে রান্না করা অনেকেই ব্যস্ততার কারণে ডাল বা অন্যান্য শস্য ঠিকভাবে না ধুয়ে বা না ভিজিয়ে রান্না করে ফেলেন। এতে শরীরে ফাইটিক অ্যাসিড ও কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ প্রবেশ করতে পারে, যা খনিজের শোষণ বাধাগ্রস্ত করে এবং লিভারের ক্ষতি ঘটাতে পারে। এই সব কারণ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সবজির খোসা ফেলে দেওয়া সবজির খোসায় থাকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ক্যানসারের মতো রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তাই সবজির খোসা না ফেলে, ভালোভাবে ধুয়ে খোসাসহ রান্না করাই স্বাস্থ্যকর।
আলু ফ্রিজে রাখা অনেকে আলু ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু এতে আলুর শর্করা অ্যাক্রিলামাইডে রূপান্তরিত হতে পারে রান্নার সময়, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই আলু ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
শুধু বাইরের দূষণ নয়, ঘরের ভেতর রান্নাঘরের কিছু অভ্যাসও লুকিয়ে রাখতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি। তাই দৈনন্দিন রান্নার কাজে কিছু সচেতনতা আনলেই সুস্থ ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করা সম্ভব। মনে রাখুন, স্বাস্থ্যকর রান্নাই স্বাস্থ্যকর জীবনের চাবিকাঠি।
মন্তব্য করুন