মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

ইউরিক অ্যাসিড কমাবে এই ৬ ঘরোয়া পানীয়

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
ছবি: স্টোরিব্লকস
ছবি: স্টোরিব্লকস

শরীরে প্রোটিনজাত খাবার যেমন মাংস, ডাল বা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের হজম প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। সাধারণত এটি মূত্রের সঙ্গে বের হয়ে যায়। তবে যখন শরীর অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে বা তা ঠিকমতো বের হতে না পারে, তখন রক্তে এর মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলেই হতে পারে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা, ফোলা ভাব বা অস্বস্তি।

স্বাভাবিকভাবে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ৩.৫ থেকে ৭.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের মধ্যে থাকা উচিত। এর বেশি হলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে, কিছু প্রাকৃতিক পানীয় নিয়মিত পান করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন, এমনই ৬টি উপকারী পানীয়ের সঙ্গে পরিচিত হই—

লেবু পানি

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। লেবুর ভিটামিন সি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড ভাঙতে এবং শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে। এটি দিন শুরু করার জন্য একেবারেই সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি।

হলুদ দুধ

হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ কমাতে সক্ষম এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে উপকার টের পাবেন।

শসার রস

শসার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। এটি শরীরের টক্সিন এবং অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে সহায়তা করে। পিউরিন কম থাকায় শসা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ঝুঁকিও কমায়। নিয়মিত শসার রস পান করলে দেহ ঠান্ডা এবং সতেজ থাকে।

তরমুজের জুস

তরমুজে প্রচুর পানি থাকে, যা কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া তরমুজের পিউরিনের মাত্রা কম, ফলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে এটি বেশ উপকারী। বিশেষ করে গরমের দিনে তরমুজের রস যেমন প্রশান্তি দেয়, তেমনি এটি স্বাস্থ্যকরও।

আদা চা

আদা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরো তাজা আদা পানিতে সেদ্ধ করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করুন আদা-চা। এটি শরীর গরম রাখে, জয়েন্টের ব্যথা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি-তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতাও ভালো রাখে। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ গ্রিন টি পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

সুস্থ থাকতে সুষম খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পাশাপাশি এই পানীয়গুলো রাখুন আপনার ডায়েটে। ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি এড়াতে এগুলো হতে পারে সহজ এবং প্রাকৃতিক সমাধান।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা