মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের উপায়

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৯ পিএম

প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা প্রায়ই বেশ ভোগান্তির কারণ হয়। বিশেষ করে উষ্ণ আবহাওয়ায় কিছুক্ষণ থাকলে বা কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়।

ঘামের মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত তাপ, বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে রাখে শীতল ও পরিশুদ্ধ। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই শরীরের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় যদি মাত্রাতিরিক্ত ঘাম সৃষ্টি হয়? সেটা অস্বাভাবিক। বগলের নিচে, হাতের বা পায়ের তালুতে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি হওয়ার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ১% মানুষের এই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে। ইংরেজিতে এটিকে 'হাইপারহাইড্রোসিস' বলা হয়ে থাকে।

অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সাধারণ কিছু কারণ : গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেশি ঘাম হয়, ব্যায়াম বা ভারী কাজ করলে ঘাম বাড়ে, টেনশন, দুশ্চিন্তা বা ভয় পেলে হঠাৎ ঘাম হওয়া বেড়ে যায়, ধূমপানে এবং অ্যালকোহলে স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর ঘামে বেশি। তাই এগুলো পরিহার করতে হবে।

কিছু শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা, ডায়াবেটিস ,স্থূলতা, সংক্রমণ বা জ্বর,স্নায়বিক রোগের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক বা মানসিক রোগের ওষুধে ঘাম বেশি হতে পারে।

ঘরোয়া ও সাধারণ কিছু সমাধান : ঘাম সম্পূর্ণভাবে প্রতিকার করা সম্ভব নয়। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাতে হবে। নিয়মিত গোসল করতে হবে, হালকা কাপড় পরতে হবে।

ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করে এমন পরিবেশে থাকার চেষ্টা করা, মসলাযুক্ত ও ঝাল খাবার কম খাওয়া, ঘামরোধী প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে, বাতাস চলাচল করে এমন জুতা পরা। আর্দ্রতা শুষে নেয় এমন মোজা পরা্র চেষ্টা করা, ট্যালকম পাউডার ব্যবহার। নাইলন ও পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক না পরে, সহজেই ঘাম শুষে নেয় এমন কাপড় যেমন সুতির তৈরি ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে।

ঘাম নিয়ন্ত্রণে পানি : শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে প্রচুর পানির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় লবণও বের হয়ে যায়। তাই সবার আগে যথেষ্ট পানি পান করতে হবে (দিনে ৩-৪ লিটার অথবা ১২-১৬ গ্লাস)। শরবত, গ্লুকোজ, ওরস্যালাইন পান করা এ ক্ষেত্রে বেশ উপকারী; কারণ, ওরস্যালাইনে পরিমিত লবণ মিশ্রিত থাকে। আর বাইরের গরম থেকে ঘরে ফিরে বা ব্যায়াম থেকে ফিরে হঠাৎ ঠান্ডা পানি না খেয়ে ওরস্যালাইন খাওয়াই ভালো। তবে কিডনি রোগে ভুগছেন এবং ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা প্রতিদিনের

চিকিৎসা : ওপরের পরামর্শগুলো নিয়মিত মেনে চলার পরও যদি অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে, তাহলে একজন হরমোনবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো জরুরি। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বা নিউরোলজিক্যাল সমস্যার জন্যই হয়ে থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হঠাৎ কমে গেলেও ঘাম হবে, সে ক্ষেত্রে রোগীর অন্যান্য বিষয়ের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা