
		এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ শিক্ষার্থী ফেল করেছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এটি গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমার ইঙ্গিত দেয় এবং মানবিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফেলের সংখ্যা ছিল বেশি। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ব্যর্থতার মুখে পড়ায় তাদের মানসিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আমরা সাধারণত দেখি যে, ফেল করা শিক্ষার্থীকে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে চান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে মা–বাবাদের।
তাদের বোঝাতে হবে ফেল মানে জীবনের শেষ নয়—এটি শিক্ষাজীবনের একটি ধাপ মাত্র। অনেক সফল মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় ব্যর্থতার মুখ দেখেছেন, কিন্তু সেটিই তাদের শক্তি হয়ে উঠেছে। তাই অভিভাবকদের প্রথম কাজ হলো সন্তানকে আশ্বস্ত করা—“একটা ফলাফল তোমাকে নির্ধারণ করে না।”
মা–বাবার করণীয়
ফেল করা শিক্ষার্থীদের শাস্তি নয়, সহানুভূতি দরকার। বাবা মায়ের উচিত এ সময় কিছুটা সময় নিয়ে সন্তানের আগ্রহ নিয়ে কথা বলা। তাকে এ কথা বলা যে, নতুন পথ খোঁজার সুযোগ সবসময়ই থাকে।অভিভাবকদের ভালোবাসা, বোঝাপড়া ও সময়ই হতে পারে সন্তানের আগামী সফলতার ভিত্তি। মনে রাখতে হবে—একটি ফলাফল নয়, মানুষের সম্ভাবনাই তার আসল পরিচয়।
মন্তব্য করুন