
		সারাদিনে সকল কাজের চাপ সামলে নিতে হয় দুই হাত দিয়ে। যে হাতে বেশি কাজ হয় সেটার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় তাড়াতাড়ি হলে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে। এছাড়াও পরিচর্যার অভাবে হাতে চুলকানি, খসখসে ও লালচেভাব বা জ্বলুনির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হাতের যত্ম হওয়া উচিত বিশেষভাবে।
জেনে নিন কীভাবে হাতের যত্ন করবেন
অনেক সময় ক্রিম লাগালেও হাতের খসখসে ভাব দূর হয় না। মুখের মতো তাই হাতেরও সমান যত্ন নিতে হয়। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন একটি ডেইলি রুটিন, যা ফলো করলেই আপনার হাত হয়ে উঠবে মুখের মত উজ্জ্বল এবং কোমল।
হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার:
লোশন বা অন্যান্য প্রসাধনীর তুলনায় হ্যান্ড ক্রিম হাতের যত্নে বেশি কার্যকর। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং স্বাভাবিকভাবে কিছুটা ঘন। হাত যদি খুব বেশি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে তেল-ভিত্তিক হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করা যায়। গ্লিসারিন, আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এবং ইউরিয়া সমৃদ্ধ উপকরণ এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। হাতের ত্বকের ওপরের স্তর আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং ফাটল দেখা দেয়। ‘ইমুলিয়েন্টস’ এক্ষেত্রে হাত কোমল রাখতে সহায়তা করে। আর খালি হয়ে যাওয়া ত্বকের কোষ পরিপূর্ণ করে হাত মসৃণ রাখতে ভূমিকা রাখে।
হ্যান্ডওয়াশের দিকে খেয়াল রাখুন:
সারাদিনের ব্যস্ততার মধ্যে একাধিক বার হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে হয় হাত পরিষ্কার রাখার জন্য। অ্যালকোহল অথবা কেমিকালযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার হাতের স্বাভাবিক আদ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, তাই গ্লিসারিন অথবা অ্যালোভেরা যুক্ত মাইল্ড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করবেন সবসময়।
হাত ধোয়ার পর ময়শ্চারাইজার:
হাত ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালো ক্রিম মেখে নিতে হবে। গ্লিসারিন বা নারকেল তেল যুক্ত যদি ক্রিম হয় তাহলে তো কথাই নেই।
সানস্ক্রিন:
অনেকেই শুধুমাত্র মুখে ব্যবহার করেন সানস্ক্রিন। মুখের মতো হাতেও ট্যান পরে, যার জন্য প্রতিদিন ভালো এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
স্ক্রাব:
সপ্তাহে অন্তত একদিন স্ক্রাবিং করতে হবে। যদি ভালো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব না কিনতে পারেন তাহলে চিনি এবং নারকোল মিশিয়েও হাতে ব্যবহার করতে পারেন।
গ্লাভস ব্যবহার:
ঘরের কাজ করার সময় ডিটারজেন্ট অথবা ডিস সোপ ক্লিনার যদি সরাসরি হাতে লাগে তাহলে হাতের মসৃণ ভাব নষ্ট হয়ে যায়। চেষ্টা করবেন বাড়িতে ধুলোবালি ঘাটার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করতে।
হাইড্রেশন বজায়:
আপনি যতই বাইরে থেকে ঘষামাজা করুন না কেন, আপনার ত্বক যদি পানিশূন্য হয়ে যায় তাহলে ত্বকে টান ধরে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে।
নিজে থেকেই একটা রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী হাতের পরিচর্যা করলে আর উন্নত প্রসাধনী ব্যবহারে দীর্ঘদিন হাতের তারুণ্য ধরে কঠিন কিছু নয়।
মন্তব্য করুন