
		তারেক সিকদার : লেখক মুশতাক ও কার্টুনিস্ট কিশোর। চৌধুরী নাফিস শারাফাতের বিরুদ্ধে একটি দুই লাইনের ছড়া আর কার্টুন আঁকায় যাদের জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। ছয় বার জামিন না মঞ্জুর হয়ে রিমান্ডে নির্যাতনে মৃত্যু হয় মুশতাকের। আর ১০ মাস জেল খেটে বিদেশ পাড়ি জমান কিশোর।
এই কার্টুনটির কথা নিশ্চয় মনে আছে। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলে এই কার্টুন।
কার্টুনটি একেঁছেন আহমেদ কবির কিশোর ও ক্যাপশনের ছড়া লিখেছেন লেখক মুশতাক আহমেদ। একটি ব্যাংকের মালিক ও পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘনিষ্ট নাফিজ শরাফতের বিরুদ্ধে এই কার্টুন আঁকার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই দুজনকে তুলে নেয়া হয়। এরপর তাদের জীবনে নেমে আসে দুঃসহ নির্যাতন।
অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৬৯ ঘন্টা নির্যাতন করে কিশোরকে, এরপর জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করে র্যাব অফিসে। পরে ৫ মে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
১০ মাসে ছয় বার জামিন নাকচ হয় তাঁর। এরপর লেখক মুশতাকের মৃত্যু ও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে সরকার জামিন দেয় কিশোরকে।
তবে কারাগারে থাকার সময়ও থামেনি তার পেন্সিল। রংতুলির আচড়ে অনেক প্রতিবাদী কার্টুন এঁকেছেন তিনি। তবে বিচার পাওয়া নিয়ে এখনও তিনি আশাবাদী হতে পারছেন না বলে জানান।
মন্তব্য করুন