
		অনলাইন ডেস্ক: পিলখানায় ১৬ বছর আগে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা তুলে ধরে নিহত কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও বেঁচে ফেরা কর্মকর্তাদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা নতুন করে আন্দোলন গড়ে তুলে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কি না, কেউ কেউ ’খুনীদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে কী না‘-সেই প্রশ্নও তোলেন।
জামিনে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বিডিআর জওয়ানদের ঘিরে সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন স্বজনরা।
তাদের শঙ্কা, আটক বিডিআর জওয়ানদের মুক্তি নিয়ে যে অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে তাতে এ হত্যাকাণ্ডের সব অপরাধীকেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনদের ভাষ্য, সেদিন বিডিআর জওয়ানরাই কর্মকর্তাদের হত্যা করার পর উল্লাস করেছে, মরদেহ বিকৃত করেছে, অফিসারদের পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের বাসস্থানে ধ্বংসযজ্ঞ-লুটপাট চালিয়েছে। এখন সেই বয়ান পাল্টে বলা হচ্ছে শুধু শেখ হাসিনা আর ভারত এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে তাদের ইন্ধন থাকতে পারে; তবে জওয়ানরা যে সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল বেঁচে ফেরা কর্মকর্তা ও স্বজনরা তা নিজেরাই দেখেছেন।
বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবের অ্যাঙ্কর হলে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারবর্গ ও বেঁচে ফেরা সেনা অফিসারদে’র যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
প্রায় দেড় ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও বেঁচে ফেরা অফিসাররা তাদের দেখা নির্মমতার বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের সদরদপ্তরে দেশ-বিদেশে আলোড়ন তৈরি করা ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। তখন এ ঘটনাকে বিডিআর বিদ্রোহ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন