
		কক্সবাজার সংবাদদাতা: বিশ্বের বিভিন্ন নাম করা পর্যটন নগরীগুলো ভ্রমণের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রের জন্যও জনপ্রিয়। নগরী ঘুরে দেখার ফাঁকে সিনেমা হল, ওপেরা হাউজ বা থিয়েটারকে ভ্রমণের অংশ হিসেবে বেছে নেন পর্যটকরা। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো থেকে বড় একটি আয়ও আসে। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেশের সবচাইতে বড় পর্যটন নগরী কক্সবাজার। গত একযুগ ধরে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে জেলার সব সিনেমা হল। সময়ের বিবর্তনে সিনেমা হলগুলো পরিণত হয়েছে আবাসিক হোটেল ও বিপনি বিতানে।
ব্যস্ত জীবনে একটু ছুটি মিললেই ভ্রমণ প্রেমীরা ছুটে যান কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে। গা ভাসিয়ে দেন সমুদ্রের জলে। বহুদূর থেকে যাওয়া এসব ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের সৈকত আর হাতে গোনা কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র ঘিরে সমস্ত আয়োজন। বিশ্বের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অপেরা হাউস, সিনেপ্লেক্স এর মত নানা আয়োজন থাকলেও, কক্সবাজারের চিত্র ঠিক এর বিপরীত। জেলায় গত একযুগ ধরে একের পর এক বন্ধ হয়ে গেছে সব সিনেমা হল।
দর্শক খড়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হলগুলো এখন বিপনী বিতান বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। টকি হাউজ, দিগন্ত, বিডিআর অডিটরিয়ামসহ চারটি সিনেমা হল কালের বিবর্তনে বন্ধ হয়ে গেছে। পোস্টার লাগানোর ফ্রেম বা দেয়ালে নাম লিখা দেখে বুঝে নিতে হয় --এক সময় এখানে সিনেমা হল ছিলো।
স্থানীয়রা জানায় ২০১১ সালে প্রথম বন্ধ হয় দিগন্ত সিনেমা হল। ২০১৩ সালে দর্শক খরায় বন্ধ হয় টকি হাউস । সবশেষ ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায় বিডিআর সিনেমা হলটিও। হল মালিকরা জানান, আগে দূর-দূরান্ত থেকে দর্শকরা সিনেমা দেখতে ভিড় করলেও, দর্শক খরায় সব হল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, দর্শক ধরে রাখতে সুস্থধারার চলচিত্র নির্মাণ ও হলগুলো সংস্কার করে পুনরুজ্জীবিত করার দাবী পর্যটকসহ স্থানীয়দের।
পর্যটন জেলা কক্সবাজারে একাধিক সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল নির্মাণ করা হলে পর্যটকরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবেন বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন মান সম্পন্ন সিনেমা হল নির্মাণ করা হলে এই খাত থেকে ভালো রাজস্বও আয় করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন