
		নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : ভয়াবহ দূষণে মৃত্যুর পথে শীতলক্ষ্যা নদী। কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্যসহ নগরীর আবর্জনায় জর্জরিত শীতলক্ষ্যা তার রূপ হারিয়েছে অনেকদিন আগেই। অক্সিজেনের অভাব আর প্রকট গন্ধে নদী তীরবর্তী মানুষের জীবনও অতিষ্ঠ। এ নদীকে বাচাঁতে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান পরিবেশবাদীদের।
শীতলক্ষ্যা নদীকে ঘিরে ৪০০ বছর আগে ব্যবসা-বাণিজ্যের শহর হিসেবে গড়ে ওঠে প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জ। ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সেই নদী আজ ভয়াবহ দূষণের কবলে। টলটলে স্বচ্ছ পানি কালচে রঙ ধারণ করেছে। দুর্গন্ধও প্রকট। নদীর দুই পাশে অবস্থিত নগরী ও ফতুল্লার বিসিক, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীসহ গোদনাইল, রূপগঞ্জ, কাচঁপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের রসায়নিক বর্জ্যে ধ্বংসপ্রায় শীতলক্ষ্যা।
সৈয়দপুর থেকে নরসিংদীর পলাশবাড়ী পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি খাল বিল ও ড্রেনের মাধ্যমে সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ছে এসব বর্জ্য। দুষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
ফেরীঘাটে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে স্থানীয় খেয়াঘাটের মাঝিরা। এ পানিতে নামলেই শরীরে চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
ভয়াবহ দূষণের কবল থেকে নদীকে বাচাঁতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি পরিবেশবাদী নারায়ণগঞ্জ বাপার সভাপতি অ্যাডভোকেট এ বি সিদ্দিক।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিপ্তরের উপ পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ, জানিয়েছে, দূষণের উৎসগুলোকে চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জে ৩৫৫০টি বিভিন্ন শ্রেনীর কালকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মন্তব্য করুন