
		তারেক সিকদার : লোকসানের অযুহাতে বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানই এখন লাভের মুখ দেখাচ্ছে। আমদানি নয়, বরং গাজীপুরে বিআরটিসি’র সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় তৈরি করা হবে নতুন বাস। নয় বছর বন্ধ থাকার পর নতুন করে চালু হওয়া কারখানাটিতে সব ধরণের গাড়ী মেরামত করা হচ্ছে। এখানে রিট্রেড করা হয় ক্ষয়ে যাওয়া গাড়ীর টায়ার।
গাজীপুরে ১৬ একরের বেশি জায়গার ওপর ১৯৮১ সালে নির্মাণ করা হয়েছিলো বিআরটিসি’র সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা-আইসিডব্লিউএস। পরবর্তীতে জায়গার পরিমাণ ১৯ একর বৃদ্ধি পেলেও লোকসান গুণতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২০১২ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে ২০২১ সালে স্বল্প পরিসরে এবং গেল বছরে পুরোদমে চালু করা হয় কেন্দ্রীয় এই কারখানাটি। এই কারখানায় ব্যবহৃত এমন আধুনিক সরঞ্জাম দেশে আর কোন কারখানায় নেই। অযতেœ পড়ে থাকা মেশিনগুলো আবারও সচল হয়ে উঠে।
সাফ জয়ী নারী ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে মাত্র এক রাতেই ছাদ খোলা বাস তৈরি করে এই কারখানাতেই। এখানেই তৈরি করা হয় কক্সবাজারে পর্যটকদের জন্য ছাদ খোলা বাস। আমদানি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এবার চেসিস দিয়ে এই কারখানায় নতুন বাস তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান আইসিডব্লিউএস এর জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা বেগম ।
এই কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে ক্ষয়ে যাওয়া গাড়ীর টায়ার। প্রতিদিন অন্তত ১২টি টায়ার রিট্রেড করছে কারখানার শ্রমিকরা।
নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বেসরকারী খাতেও বাস এবং গাড়ীর টায়ার যোগান দিতে পারবে বলে বিশ্বাস তাদের।
মন্তব্য করুন