
		মাবুদ আজমী : প্রায় দেড় যুগ পর স্বস্তিতে কাটলো পবিত্র মাহে রমজান মাস। পুরো রমজানজূড়ে ছিলোনা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুত বিভ্রাট ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। রোজা শেষে ঘরে ফেরা মানুষের স্বস্তির ঈদযাত্রাতেও মানুষের বাহবা কুড়াচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। মহাসড়কে ছিলো না দীর্ঘ যানজট, এমনকি ট্রেনেও যাত্রা শুরু করেছে সময়মত। এমন ভোগান্তিহীন রমজান মাস ও ঈদযাত্রা বার বার ফিরে আসুক সেই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
আওয়ামী সরকার পতনের পর এবছর মুক্ত পরিবেশেই এ বছর সিয়াম সাধনা পালন করলো ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। ভিন্ন এক পরিবেশ পরিস্থিতিতে শেষ হলো পবিত্র রমজান মাস।
ঘরে-বাইরে কিংবা বাজারে সবজায়গায় স্বস্তির নিঃশ্বাসে রোজা কেটেছে সাধারণ মানুষের ছিলো না বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাসটি লোডশেডিং এর যন্ত্রণা ছাড়াই পার করেছেন সাধারণ মানুষ।
প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন। নিত্যপণ্যের উর্ধ্বমূখিতে বছরের পর বছর ধরে অসহায় দিন কাটিয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে গণঅভ্যূাত্থানের পর ভিন্ন চিত্র দেখলো তারা। এবার রোজার ভোগ্যপণ্যের বাজার চিলো অনেকটাই স্থিতিশীল। ভোক্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার রজমানে পণ্যের দাম সবচেয়ে কম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছিলো তৎপর।
রোজা শেষে ঈদে ঘুরমুখো মানুষের যাত্রা ছিলো ভোগান্তিহীন। সড়কে নেই চিরচেনা যানজট। কবে এমন ফাঁকা মহাসড়ক দেখেছেন তাও বলতে পারছেন না চালকরা।
শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ট্রেনের ছিলো স্বস্তির ঈদযাত্রা। সময়মত ট্রেন পেয়ে যাত্রীরা বলছেন, পরিবর্তনের এই সুফল যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সবাইকে সচেষ্টা থাকতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানে পট পরিবর্তনের ফলে ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ অব্যাহত থাকুক এবং এভাবেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগুক প্রতিটি খাতে, সুফল ও স্বস্তি পৌঁছে যাক মানুষের মনে। সেই প্রত্যাশা সকলের।
মন্তব্য করুন