
		জেলা সংবাদদাতা: ঈদের টানা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে প্রায় হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারেই ৭’শ কোটির বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। এবারের দীর্ঘ ছুটিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ব্যবসা হয়েছে পর্যটনের সব খাতে। ফলে খুশি হোটেল-মোটেলসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষের পথে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবার পর্যটন খাতে বাণিজ্য ছিলো রমরমা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এবার রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের ঢল নেমেছিলো। সৈকতে গা ভাসানোর পাশাপাশি, পর্যটকরা কেনাকাটা করেছেন সাগড়পাড়ের বার্মিজ পণ্যের দোকান, আচার, শুঁটকি ও শামুক-ঝিনুকের দোকানে। পর্যটক আসায় আশানুরুপ ব্যবসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রায় ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্ট হাউস ও কটেজ ছিল পর্যটকে ভরা। পর্যটকদের আনন্দ দিতে নানা আয়োজন ছিল বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
ঈদের ছুটিতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার মতো বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কর্মকর্তা আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে ভ্রমন পিপাসুদের ঢল নেমেছে বান্দরবানে। পাহাড়, নদী, ঝিড়ি-ঝর্ণা আর প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট পর্যটকদের উপস্থিতিতে।
পর্যটকদের পদভারে মুখরিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাও। এবারের ঈদে পর্যটন ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রি কয়েকগুন ভালো হয়েছে।
টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের দেড়শতাধিক পর্যটন স্পট এখনো মুখরিত। বেশীরভাগ হোটেল-রিসোর্ট হাউজফুল। অতিরিক্ত ভীড় সামাল দিতে ও তাদের নিরবছিন্ন ভ্রমনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান হোটেল রিসোর্ট মালিকরা।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমনটাই চাওয়া দর্শনার্থীদের।
মন্তব্য করুন