
		রংপুর সংবাদদাতা: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার সুবাধে দলের নাম ভাঙিয়ে রংপুরে প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন স্বাচিপ নেতা ইয়াকুব উল আজাদ। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক থাকাকালীন সময়ে জমি দখল, সরঞ্জাম বিক্রি, চাকরি বাণিজ্য, দোকান ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের নামের পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ঢাকা, গাইবান্ধা, রংপুর ও খুলনায় গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ।
রংপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়ান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচীপের নেতা ইয়াকুব উল আজাদ। দলের নাম ভাঙিয়ে পরবর্তীতে ভাগিয়ে নেন বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজের পরিচালকের পদ। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার আস্থা অর্জনে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল।
পরিচালক হওয়ার পর থেকে পকেট ভারী হতে থাকে ইয়াকুব উল আজাদের। এই সময়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র কেনা, চাকরি বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এছাড়া নগরীর ধাপ এলাকায় ৫৩ শতক জমির ওপর এআরসিটি নামে ১৭তলা একটি বাণিজ্যিক ভবন করে দোকান ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার নামে ব্যবসায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আত্মসাৎ করেছেন কোটি কোটি টাকা।
এসব টাকায় নিজ নামের পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানদের নামে খুলনায় রওশনারা ক্লিনিকের একটি ছয়তলা ভবন, গাজীপুরে এক একর এবং রংপুরের পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে মানুষের একশো একর জমি দখল করেছেন। এছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর নবোদয়ে রয়েছে কয়েকটি হাউজিং ভবন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিদেশে অবস্থান করা দুই মেয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে। ছিলেন পলাশবাড়ীর ডা. আজাদ রওশন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক।
২০১৮ সালে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি ও সাদুল্ল্যাপুর থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি স্বাচিপ নেতা ইয়াকুব উল আজাদ। পাওনা টাকা না দিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গেল ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা ইয়াকুব উল আজাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন