
		নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রির জন্য বিভিন্ন আকৃতির গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে খামারি ও অন্য লালন পালনকারীদের। দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা পশুর চাহিদা বেশি। ইতোমধ্যে অনেক ক্রেতা খামার থেকেই তাদের পছন্দের পশু কিনতে শুরু করেছে। তবে গো-খাদ্যসহ পশু পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভের আশা নিয়ে শংকায় রয়েছে খামারিরা।
এগিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ। তাই বিক্রয় উপযোগী পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
কোরবানি ঈদকে ঘিরে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের খামারীরা। স্বাস্থ্যসম্মত ও দেশীয় পদ্ধতিতে পশু লালন পালন করায় এখানকার পশুর চাহিদা রয়েছে বেশ। খামার থেকে পছন্দের গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায়, পশু লালন পালনে ব্যয় বেড়েছে। ফলে খামারিরা কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ।
কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে এ বছর লালমনিরহাট জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৬৩১টি পশু। বাড়ি ও খামারে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
এদিকে, কোরবানির পশু হাটে তোলার প্রস্তুতি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার খামারিরা। এই জেলায় গরম তুলনামূলক বেশি থাকায়, পশু মোটাতাজা করণে বাড়তি যতœ নিতে হচ্ছে খামারিদের। এছাড়া, পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে পশু পালন ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাজারদর নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।
জেলার বিভিন্ন খামারে ও বাড়িতে প্রায় ২ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার পশুর। এ অঞ্চলের খামারিরা শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু বেশি লালন পালন করে। এই জেলার ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের চাহিদা রয়েছে সারাদেশে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় চাহিদার চেয়ে ৭৫ হাজারের বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন