
		নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ৪০ হাজার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে খনন করা 'একুশে দীঘি তদারকির অভাবে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে শুকনো মৌসুমে দীঘির পানি গিয়ে তলানিতে পেীঁছায়। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। দিঘীটি আবারো খনন করে শুকনো মৌসুমে হাওরবাসী মানুষ এবং পশু-পাখির জন্য পানি সংকট নিরসনের দাবী এলাকাবাসীর। ২০০৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওড়ে 'একুশে দিঘীটি' খনন করা হয়। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আবেদ হোসেনের নেতৃত্বে ৪০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় দিঘীটি খনন করে।
হাওড়ে সেচ কার্যক্রম, দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষায় দিঘীটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্ষা মৌসুমে এটি হয়ে উঠতো মাছের অভয়াশ্রম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ভরাট হতে থাকে দিঘীটি। যা পুণঃখননের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে পানির সংকটে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ জানালেন, এই মুহূর্তে দিঘী খননের জন্য কোন প্রকল্প নেই, তবে প্রকল্প পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। পানির সংকট নিরসনে দ্রত দিঘীটি পুণঃখননের দাবি এলাকাবাসীর।
মন্তব্য করুন