
		বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে গুলশানের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ডিএমপির নিয়মিত তথ্য জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চারটি চেক উদ্ধার করা হয়। চেকে মোট টাকা ২ কোটি ২৫ লাখ। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় আলাদা একটি মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠন থেকে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওয়ারী বিভাগ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৩টি চুরি হওয়া মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলাদা আরেক অভিযানে ডিবির তেজগাঁও বিভাগের একটি দল কবজি কাটা আনোয়ার গ্রুপের দুই সদস্য মোহাম্মদ নিশাত (২২) ও মোহাম্মদ রাসেল ওরফে পেস্টিং রাসেলকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া গত ১ জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ডিএমপির ৫০টি থানায় ডাকাতি ৩৩টি, ছিনতাই ২৪৮টি, খুন ১৫৪টি, চুরি ১ হাজার ৬৮টি রুজু হয়েছে। এ মুহূর্তে ডিএমপিতে ৭ হাজার ৮১২টি মামলা তদন্তাধীন।
তালেবুর রহমান জানান, রাজধানী ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২ হাজার ৮৪৫টি মামলা করেছে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ। এর মধ্যে ২৮২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। হঠাৎ সতর্কতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে সতর্কতা জারির সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।’
মোহাম্মদপুরে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তালেবুর রহমান বলেন, পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয় রয়েছে। রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রয়েছে। এর বাইরে কিছু অপরাধ যে ঘটছে না, তা নয়। তবে ঘটনা ঘটলে তাঁরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও সহনীয় মাত্রায় রাখতে কাজ করছেন। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সামনে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ সদস্যদের মনোভাব ইতিবাচক রয়েছে।
মন্তব্য করুন