
		দীর্ঘ প্রীতক্ষার পর আশার আলো দেখাচ্ছে ভোলাবাসীর স্বপ্নের ভোলা-বরিশাল সেতু। দ্বীপজেলার বাসিন্দারা বলছেন, সেতু হলে বদলে যাবে ২৪ লাখ মানুষের জীবনমান। মুছে যাবে ‘বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জেলা’র উপাধি। তবে আশ্বাস নয়, দ্রুত সেতুর কাজ শুরুর দাবি তাদের।
ভোলার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানসহ অনেকক্ষেত্রে পিছিয়ে বাসিন্দারা। এতোদিনেও হয়নি স্বপ্নের সেতু। দীর্ঘদিন ধরে ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে আন্দোলন করেছেন স্থানীয়রা।
অথচ একটি সেতু বদলে দিতে পারে ২৪ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা। সড়কপথে সারাদেশে সাথে যুক্ত হবে দ্বীপ জেলা ভোলা। মুছে যাবে ‘বিচ্ছিন্ন দ্বীপ’ জেলার উপাধি।
অবশেষে নতুন করে আশায় বুকবেধেছে ভোলাবাসী। গেল ৮ মে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দীন ও সেতু বিভাগের সচিব মো. আব্দুল রউফ ভোলা সফর করেছেন। এসময় সেতুর স্থান পরিদর্শন শেষে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা দেন তারা। প্রায় ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্প ২০৩৩ সালে শেষ হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রাকৃতিক গ্যাসে সমৃদ্ধ ভোলা জেলা। সেতুটি নির্মিত হলেই চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটবে বলে আশা দ্বীপবাসীর।
মন্তব্য করুন