
		বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশে যে ঘাটতি রয়েছে, রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীরা তৈরি করেছেন। আজকের সংকটের জন্য তারা দায়ী।
শনিবার (১১ অক্টোবর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘পলিসি কনক্লেভ বাংলাদেশে এলপিজি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদ্যুতে অপ্রয়োজনীয় ক্যাপাসিটি তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে কিন্তু গ্যাস সরবরাহের কথা চিন্তা করা হয়নি। গ্যাস নাই জেনেও পাইপলাইন করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে পাইপলাইন করা হয়েছে। গ্যাস বিদ্যুতের মতো নয়, ইচ্ছামত ফিডার বন্ধ করে সরবরাহ করা সম্ভব না। এখানে যে আগে থাকবে সে পাবে।
তিনি বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হওয়া উচিত ১০০০ টাকা। ১২০০ টাকার সিলিন্ডার ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। দায়িত্বহীন ব্যবসা হতে পারে না, ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে। এলপিজির দাম কমানোটা চ্যালেঞ্জ, এ জন্য ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব নিতে হবে, বেশি মুনাফা করে টাকা পাচারের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, প্রচুর অনুসন্ধান কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, স্থলভাগে অনুসন্ধান বাড়ানো হচ্ছে। কিছু গ্যাস পাচ্ছি তবে সন্তোষজনক নয়। ভোলা এবং অন্যান্য জায়গায় কিছু গ্যাস পাবো আশা করছি।
তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। দুটি এফএসআরইউ দিয়ে ১১৫টি কার্গো আমদানি করা সম্ভব। নতুন এফএসআরইউ স্থাপন করা হবে। এতে দুই থেকে তিন বছর সময় প্রয়োজন। ল্যাডবেজড টার্মিনাল করতে আরও বেশি সময় প্রয়োজন। এই জায়গায় এলপিজি রিপ্লেস করা সম্ভব, এলপিজি আমদানি করা সহজ। তবে দামটা বড় চ্যালেঞ্জ।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তানিম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যানবাহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলপিজি রিপ্লেস করা সম্ভব। একই পরিমাণ এলএনজি আমদানি করতে গেলে যেসব অবকাঠামো প্রয়োজন হবে, তার জন্য কমপক্ষে ৩ বছর সময় লাগবে।
আকিজ বশির গ্রুপের খোরশেদ আলম বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে বিগত ৩ বছরে ৩০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। গ্যাস সংকটের কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছি না। গ্যাস সংকট দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
মন্তব্য করুন