
		রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার এক মাদক ব্যবসায়ীর ছোট্ট মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিল। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন শিশুটির গালে থাপ্পড় মারে। মুহূর্তেই কেঁপে ওঠে চারপাশ। সেই হৃদয়স্পর্শী দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও দেখে নেটিজেনদের নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থাপ্পড়টি কে মারল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ শিশুটির গালে থাপ্পড় মারেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মফিজ উদ্দিন। তবে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
বৃহস্পতিবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ী দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য জাহিদ (২০)। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে রুস্তম নামে একজন মাদক ব্যবসায়ীও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি জাহিদ হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত। রুস্তমকে গ্রেফতার করে পুলিশ যখন নিয়ে যাচ্ছিল, ওই সময় তার সাত বছর বয়সী মেয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। চোখে-মুখে আতঙ্ক ভর করা মেয়েটি বাবাকে ছাড়তে চাইছিল না। সে মুহূর্তেই ঘটে শিশুটিকে থাপ্পড় মারার ঘটনা। এ ঘটনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটি বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে, আর ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন আচমকা তাকে থাপ্পড় মেরে দেয়। শিশুটি কেঁপে ওঠে। বাবার কাছ থেকে একজন তাকে সরিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মফিজ উদ্দিন। তিনিই শিশুটিকে থাপ্পড় মারেন। এ ব্যাপারে পরিদর্শকের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। রুস্তম গ্রেফতারের পর মেয়েটি বাবাকে জড়িয়ে কান্না শুরু করে। তখন স্থানীয় লোকজনের ভিড় ছিল। আমাদের ধারণা, ভিড়ের মধ্যে থেকেই কেউ শিশুটিকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’
তিনি বলেন, ‘রুস্তম শুধু মাদক ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত নন, জাহিদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিও।
মন্তব্য করুন