মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
ডিভি লটারিতে বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার
আবারও আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি)। এতে বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে নতুন করে সরব হচ্ছেন সামাজিক যোগযোগামাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম ‘বাংলাফ্যাক্ট’। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের জন্য স্বপ্নের পদ্ধতি ছিল ডিভি ভিসা (ডাইভারসিটি ভিসা)। কিন্তু ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ আর ডাইভারসিটি ভিসা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার যোগ্য নয়। কারণ যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম তারাই এতে অংশ নিতে পারে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তিরা ‘গ্রিন কার্ড’ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী নাগরিকত্বের পথে এগোতে পারেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে ডিভি কর্মসূচি সেসব দেশের জন্য কার্যকর, যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের হার তুলনামূলকভাবে কম। সম্প্রতি ‘২০২৬ সালে ডিভি লটারি তালিকায় নেই বাংলাদেশ’ শিরোনামে খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু এটি কোনো নতুন সংবাদ বা ‘দুঃসংবাদ’ নয়, বরং বিগত ১৩ বছরের ধারাবাহিকতা। ফ্যাক্টওয়াচ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে জানিয়েছে, ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামে একটি ফটোকার্ডে বলা হয়, ২০২৬ সালে ডিভি লটারি তালিকায় নেই বাংলাদেশ। মূলত এই প্রতিবেদন থেকেই ‘নতুন খবর’ হিসেবে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। এছাড়া একই ধরনের তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা পেইজ থেকেও ফটোকার্ড শেয়ার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গত ১৯ অক্টোবর জানায় মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত অভিবাসন সীমা অতিক্রম করায় কয়েকটি দেশকে এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো— বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিল, কানাডা, চীন ও হংকং, কলম্বিয়া, ডোমিনিক রিপাবলিক, এল সালভাদর, হাইতি, হন্ডুরাস, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা এবং ভিয়েতনাম।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়