
		গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি পাইপ কারখানায় ডাকাতির সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে অন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাত পৌনে এগারোটার দিকে বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের পিপিএস নামক পাইপ কারখানায়। ৯থেকে ১০ জনের ডাকাত দল একটি ট্রাক নিয়ে ওই কারখানায় ডাকাতি করতে যায়। তিন ডাকাত ট্রাক নিয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করে। বাকী ছয় ডাকাত কারখানার গেইট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে।
এসময় ডাকাতরা নিরাপত্তা প্রহরী মকুবল হোসেনকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করে ফেলে রাখে। কারখানর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর কমকর্তা আ. ছালাম তিন তলা থেকে ডাকাতির ঘটনা দেখতে পান। এসময় তিনি কর্তৃপক্ষ ,পুলিশ ও স্থানীয় লোকদের ডাকাতির কথা জানান। পুলিশ এসে স্থানীয়দের নিয়ে ধাওয়া করে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার ভাঘটিয়া গ্রামের ইদ্রীস আলীর ছেলে মো. সোহেল মিয়া (৩২), একই জেলার তারাকান্দা থানার ইসমাইলের ছেলে এমদাদুল হক (৪৫),বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানার কামুলা গ্রামের সোহরাবের ছেলে ফারুক(৩২), নওগা জেলার রাণীনগর থানার রাজাপুর গ্রামের মো. আলমের ছেলে আরিফ(৩০), নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার বালুর মাঠ এলাকার সাহা আলমের ছেলে শিমান্ত(২১) ও চাঁদপুর জেলার মতলবপুর গ্রামের গোদা মোল্লার ছেলে ইব্রাহীম (২৩)।
স্থানীয়রা জানান, কারখানাটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রাত পৌনে এগারোটার দিকে কয়েকজন অপরিচিত লোক গেইট টপকে পিপিএস পাই কারখানার ভেতরে ডুকে। বিষয়টি জেনে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে কারখানার ভেতেরে প্রবেশ করে। তারা দেখতে পান ডাকাতরা নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে ডাকাতি শুরু করে। পুলিশ ও স্থানীয়দেরকে দেখে ডাকাতরা কারখানার পেছন দিক দিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ ও স্থানীয়রা ধাওয়া করে ছয় ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষমান তিন ডাকাত পালিয়ে যায়। আহত ছয় ডাকাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী মকবুল হোসেন জানান, অপরিচিত কিছু লোক গেইটের উপরদিয়ে ভেতরে ডুকে আমার হাত-পা বেঁধে মারপিট করে। আমাকে ফেলে রেখে তারা ডাকাতি করতে শুরু করে। লোকজন চলে এলে ডাকাতরা সীমানা দেয়াল টপকে বাহিরে চলে যায়।
কারখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসলামী ব্যাংক লিঃ এর দায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.ছালাম বলেন, রাত পৌনে এগারোটার দিকে তিন তলা থেকে দেখতে পাই নিরাপত্তা প্রহরীকে কারা যেনো মারছে। পরে বুঝতে পাই কারখানায় ডাকাত ডুকেছে। তাৎক্ষনিক স্থানীয়দের,পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষতে জানানই। দ্রুত সময়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশ এসে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসাক ডা. আজগর হোসেন সোহাগ জানান, রাত বারোটার দিকে পুলিশ আহত ছয় ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুত্বর আহত সোহেল ও এমদাদুলকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ওই কারখানাটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ডাকাতরা কারখানার মাল পত্র লুট করতে এসে ছিলো। খবর পেয়ে আমি সহ পুলিশের একাধিক টহল দল ঘটনা স্থলে পৌছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাবার সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে ছয় ডাকাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন