
		পাবনার আতাইকুলা থানার লক্ষীপুর ইউনিয়নের চতরা বিলের গভীর নলকুপের ঘরের মধ্যে গোপন আস্তানায় ময়েজ বাহিনীর অস্ত্র তৈরির কারখানা আবিষ্কার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে মনিরুল (৪০) নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে একটি রিভলবার ও একটি ওয়ানসুটারসহ রেজাউল (৪০) নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিল এলাকার ময়েজ বাহিনী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আতাইকুলা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় বিলের মধ্যে লুকানো ঘাঁটি থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, কাটিং মেশিন, ড্রিল মেশিন, লোহার পাত, গানপাউডারের মতো উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে সংগঠিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজির জন্য এসব অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। তবে এর পেছনে আরও বড় কোনো নেটওয়ার্ক জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, চতরা বিলের দুর্গম চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই ময়েজ বাহিনীর তৎপরতা চলছিল। দিনের বেলায় তেমন দেখা না গেলেও রাতে তারা অস্ত্রসহ মহড়া দিত। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছিল। তাছাড়া সামনে নির্বাচনকে ঘিরে এরা কারও হয়ে কাজ করার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে এলাকায় গুন্জন রয়েছে।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুল্লাহ জানান, “ময়েজ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে চতরা বিলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। তারা আবার মাথাচাড়া দেয়ার জন্য সশস্ত্র সংঘবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা কিনা বিষয়গুলো মাথায় রেখে অভিযান চলমান রয়েছে। তাদের অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে এবং আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
মন্তব্য করুন