
		কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত এক ডজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আর পুলিশের হাতে আটকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক জিনিয়া শারমিন রিয়া ও শিক্ষক প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম শামীমসহ ২০ জন আটক হয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন। আটকদের মুক্তির দাবীতে উখিয়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্র ও জনতা। এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
বুধবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উখিয়ার ফলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পগামী এনজিও’র গাড়ি আটকালে, তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনকারীরা অবস্থান ধরে রাখলে লাঠিচার্জ শুরু হয়। এতে নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। কয়েকজনকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক জিনিয়া শারমিন, শিক্ষক প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম শামীমসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিনিয়াসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করতে এবং তিনজন আহত হয়ে উখিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন, জিনিয়াসহ তাদের দুইজন সহযোদ্ধাকে পুলিশ আটক করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনার পর উখিয়া সদর এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় ছাত্র ও জনতা উখিয়া থানার সামনে জড়ো হয়ে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছে। থমথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উখিয়া সদর এলাকায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকদের পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চলছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। আজকের লাঠিচার্জ ও আটক পরিস্থিতিকে ঘিরে উখিয়ায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে আন্দোলন চলছেই, আর আজকের ঘটনার পর তা আরও তীব্র রূপ নিয়েছে।
মন্তব্য করুন