
		তানযীমুল উম্মাহ যশোর জেনারেল শাখার উদ্যোগে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার শাখা তত্ত্বাবধায়ক ও ইনচার্জ আ খ ম মাসুম বিল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মো. আবুল হাসান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মাহফুজুর রহমান, ইকরামুল ইসলাম শাওন এবং মাওলানা আশরাফ আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম. এম. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও শাখা প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, গার্লস শাখা প্রধান হাফিজুর রহমান, প্রি-হিফয শাখার প্রধান সাইফুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী ও অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা শুধুমাত্র বইমুখী বা পরীক্ষাভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, যে জাতি শিক্ষায় এগিয়ে যাবে, সেই জাতি সভ্যতার শিখরে আরোহণ করবে। মাদ্রাসা শিক্ষা আমাদের আগামী প্রজন্মকে দ্বীনি জ্ঞান, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে তুলবে।
অন্য বক্তারা শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন- খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধ, দলগত কাজের মনোভাব ও নেতৃত্বগুণ বিকাশে সহায়তা করে। একই সঙ্গে ইসলামী আদর্শের আলোকে শিক্ষার্থীরা যখন মাদ্রাসা শিক্ষায় নিজেদের গড়ে তুলবে, তখন তারা সমাজের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে।
সভাপতি আ খ ম মাসুম বিল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা হলো মানব জীবনের মূল ভিত্তি। আমাদের মাদ্রাসাগুলো দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে যুগোপযোগী সুনাগরিক তৈরিতে কাজ করছে। আজকের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তারই অংশ। খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের আনন্দদায়ক পরিবেশে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দেয়। এছাড়া তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত তানযীমুল উম্মাহ প্রি-হিফয মাদরাসা যশোর শাখার উদ্যোগে বিকাল তিনটায় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। বিকাল তিনটা থেকেই যশোরের শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রাণবন্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সাফল্যকে তুলে ধরা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুল হাসান, উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার, যশোর জেলা ও প্রশাসক, যশোর পৌরসভা। এছাড়া বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রাণবন্ত আয়োজন এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠানটি বিশেষ দোয়া ও মোনজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন