
		ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন বাদ দেয়ার প্রতিবাদে এবার রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনের তৃতীয় দিনে ঢাকা-বেনাপোল ও খুলনা-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করেন তারা। এর আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকাবাসী। দুই মহাসড়কের পাঁচটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। মহাসড়ক দুটি দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এ দিকে তৃতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলায় উপজেলা পরিষদ ঘিরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য।
কৈডুবি রেলগেটের গেট কিপার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রেলগেট বন্ধ করে রেখেছে স্থানীয় জনগণ। ফলে কোনো ট্রেন যাতায়াত করেনি।
ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ সাকিব আকন্দ জানান, খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ভাঙ্গায় সোয়া ৮টায় পৌঁছানোর কথা। কিন্তু রেললাইন অবরোধের কারণে ট্রেনটি ভাঙ্গা পৌঁছতে পারেনি। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
ভাঙ্গা রেল পুলিশের ইনচার্জ শাবুর হোসেন জানান, ঢাকাগামী জাহানাবাদ ট্রেন মুকসুদপুর আটকা পড়ে আছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুর এলাকায় দেখা যায়, মহাসড়কের ওপর তাঁবু টাঙিয়ে ও আসবাবপত্র ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান করছেন এলাকাবাসী। নানা বয়সী শত শত মানুষ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নির্বাচন কমিশনার ও ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের আলগী ও হামিরদি ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তাদের এ চক্রান্ত সফল করতে দেব না। আমরা গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলাম। তখন ইউএনও আমাদের আশ্বস্ত করেছিল সোমবারের (৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে সুরাহা হবে। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করি আমরা। আজ তৃতীয় দিনের মত অবরোধ কর্মসূচি চলছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দুটি ইউনিয়ন ফিরিয়ে দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও আমাদের কোনো বার্তা দেয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন