
		বিদেশে পড়াশোনা করানো, সরকারি চাকরি দেয়া, বিমানবালা হিসেবে সুযোগ কিংবা সম্পত্তি দেয়ার প্রলোভনে প্রতারনার মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারী ১৭ জন নারীকে বিয়ে করার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল চীফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু স্ব প্রনোদিত হয়ে মেট্রোপলিটন প্রথম আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো: সাদিক আহম্মেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
নালিশী মামলার বাদী এ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু আমার দেশকে জানান বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: কবির হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা। আসামী প্রতিটি বিবাহের বিষয়ে মুসলিম ফ্যামিলি আইনের ১৯৬১ এর ৬ ধারার বিধান লংঘন করে অধ্যাদেশ ৬(৫) এর (খ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
এছাড়া প্রথম বিবাহের পর তা গোপন রেখে এক এক করে ১৭ টি বিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশীয় সংস্কৃতি এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুতর অপরাধ সংগঠিত করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রাজিব মজুমদার জানান, আদালত এ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবুলের দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, তার বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী পরিবার ও সুশীল সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর কাশিপুর বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্ত্রীরা বলেন, সব শেষ খুলনার চাকরিজীবী খাদিজা আক্তারকে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন বন কর্মকর্তা মো : কবির। বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই স্ত্রীর বাবার বাড়ির অংশ লিখে দেয়ার জন চাপ প্রয়োগ করেন কবির হোসেন। ভূক্তভোগী খাদিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কবির বিয়ে করেছে। পরবর্তীতে বাবার বাড়ির সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় সে (কবির) আমাকে নির্যাতন করে কোয়াটার থেকে বের করে দিয়েছে। কবির হোসেনের অপর স্ত্রী নাসরিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমাকেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কবির বিয়ে করেছে।
পরবর্তীতে তার বিয়ের নাটক ধরা পরার পর আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, কবির হোসেন পাটোয়ারী এ পর্যন্ত যেসব স্টেশনে চাকরি করেছেন সেই সব এলাকায়ই সে বিয়ে করেছেন। আর প্রত্যেকটি স্টেশন ত্যাগ করার পর তাদের আর কারোই খোঁজ রাখেন না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বরিশাল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. কবির হোসেন পাটোয়ারীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন