
		পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় মাদ্রাসা পড়ুয়া এতিম অসহায় এক কিশোরী ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষন করায় কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে কিশোরীকে জোর করে অপহরন করে ধর্ষকের পরিবার। এখন ধর্ষকে বাঁচাতে প্রভাবশালী একটি মহল জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ধর্ষক জামাল উদ্দিন (৪০)কে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করেন। জামাল উদ্দিন উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র। তাকে নিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শালবাহান ইউনিয়নের ছোপাগছ গ্রামে ধর্ষকের দুলাভাই মোতালেবের বাড়ি থেকে ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে।
আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড় বিজ্ঞ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। মামলা সূত্রে জানাযায়, মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করেন৷ ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করা অবস্থায় মাঝেমধ্যে তার নানীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।
এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগী মাংস আনতে গেলে জামাল উদ্দিন বাড়ীতে লোকজন না থাকায় ওই কিশোরীকে খারাপ প্রস্তাব দেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে ধর্ষন করে। সে থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন৷ একপর্যায়ে ঐ কিশোরী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েন৷
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামীরা পরে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় কিশোরী বিচার না পাওয়ায় নানী মামলা করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুসা মিয়া জানান, ধর্ষক জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম কিশোরীকে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন