
		ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হোটেল কর্মচারী ইয়াসিন (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে একই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুইজনে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার কাঁটাবন এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড় ভাই শাহীন মিয়া।
এর আগে গত শনিবার রাতে বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শিপন মিয়া (৩৮) নামে এক যুবক। একই ঘটনায় আহত হন ইয়াসিনসহ আরও দুইজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের শিপন ও থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাতের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুজনই এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
শনিবার রাতে শিপন গণি শাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ রিফাত তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে শিপন, হোটেল কর্মচারী ইয়াসিন ও নূর আলম নামে আরও একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে শিপনের মৃত্যু হয় এবং সোমবার ভোরে ইয়াসিনও মারা যান।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, গুলিবিদ্ধ ইয়াসিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। এই ঘটনায় আহত অপরজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, এলাকায় বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন