
		রাজধানী ঢাকার পল্লবীতে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় ছাত্রদল নেতাসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। এ ঘটনায় আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কজনক। আহতরা হলেন সৈয়দ হাসান সোহেল, তার বড় ভাই সৈয়দ হাসান রনি, ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা হৃদয় ও ডলার। জানা যায় গত ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পল্লবীর ১১ নম্বরে বিহারিদের মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে এলাকায় লাগাতার মাদক উৎখাত কর্মসূচির ডাক দিয়েছে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন। এই কর্মসূচি অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটলে এর দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ দুপুর ২ টা থেকে পল্লবীর ১১ নম্বরের মিল্লাত ক্যাম্প থেকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
আহতদের মধ্যে হৃদয় নামে এক ব্যাক্তি অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছে, ক্যাম্পে আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে সোহেল মাদক ব্যবসার চিত্র তুলে ধরেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।
সোহেল স্থানীয়দের সতর্ক করে মাদক বিক্রি বন্ধ করার জন্য আল্টিমেটাম দেন। এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তার ওপর হামলা চালায় পল্লবীর আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর ভাইবোন ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হুদা মামুনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন মাদক কারবারি।
সৈয়দ হাসান সোহেল পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়কের পাশাপাশি উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। এই ঘটনায় উর্দুভাষী যুব-ছাত্র সংগঠন প্রতবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। পুলিশ মাদক নির্মূলে ব্যর্থ এমন অভিযোগ এনে এলাকায় ধারাবাহিক মাদক উৎখাত কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. সুমন জানান, প্রথমে পৃথিবীর বোন জামাই সোহেলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এরপর তার স্ত্রী এসে কান্নাকাটি করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিতে চায় বলে জানিয়ে সোহেলসহ আরও চারজনকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে প্রবেশ করলে সোহেল দেখেন হুদা মামুন তার দলবল নিয়ে অবস্থান করছে। কিছু বোঝার আগেই রাজেশকে দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী পৃথিবীর ভাইবোন ও হুদা মামুনসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন মিলে সোহেল এবং তার সঙ্গীদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা শুরু করে।
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খান বলেন, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় সোহেলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পল্লবী থানা পুলিশ মাদক নির্মূলে ব্যর্থ। কয়েকদিন পরপরই থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে, তবুও মিল্লাত ক্যাম্পে মাদক বিক্রি বন্ধ হয়নি। বরং অভিযানের পর মাদক কারবারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
প্রশাসন মাদক নির্মূলে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা সাধারণ মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের উৎখাতের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। কর্মসূচি পালনের সময় যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার দায়ভার অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীরা এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন