
		চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। বিগত আগস্ট মাসে দেশে ২.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। আগের মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা আগস্টের চেয়ে কম। আগস্টের শেষ তিন দিনেই (২৮-৩০ আগস্ট) প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের আগস্টের তুলনায় প্রবাসী আয়ে প্রায় ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে গণঅভ্যুত্থানে উত্তাল আগস্ট মাসে অনেক কম র্যা মিট্যান্স এসেছিল (২.১৮ বিলিয়ন ডলার)।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্টে) মোট ৪৯০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৪১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা দেখা দিয়েছে। এবছর রোজার ঈদের মাস মার্চে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় আসে। এই একক মাসেই ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
পরিসংখ্যান বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার মাস গত বছরের আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২২২ কোটি ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।
এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার ও মে মাসে ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ৩ হাজার ৩২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার (৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন), যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। এটি এক অর্থবছরের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। তার আগের অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ১২ লাখ ডলার।
মন্তব্য করুন