
এর আগে বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তারা। তবে এবারের অভিজ্ঞতাটা একেবারে ভিন্ন। বলছি এই সময়ের তরুণ দুই থিয়েটারকর্মী, মঞ্চশিল্পী সুমন ও জিনিয়া আজাদের কথা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল হলে আগামী ৮ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় পদাতিক নাট্য সংসদের নতুন প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নাটকে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। এরপর দিন একই সময়ে নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে। ওই নাটকে অভিনয় করছেন অভিনয়শিল্পী জিনিয়া আজাদ এবং নূর-ই-আলম সুমন দম্পতি। নাটকের মঞ্চায়ন উপলক্ষে নিয়মিত মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন তারা।নাটকটি মঞ্চায়নের আগেই আলোচনায় এসেছে। একইভাবে অন্য শিল্পীদের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছেন জিনিয়া সুমন দম্পতিও। নাটকে এক সঙ্গে অভিনয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত এই দুইশিল্পী।
জানা যায় আরব্য রজনীর গল্প অবলম্বনে পদাতিক নাট্য সংসদ, টিএসসির ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নাটকটি রচনা করেছেন উম্মে হানী। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। সুমন-জিনিয়া ছাড়াও নাটকে আরো অভিনয় করছেন শরীফুল ইসলাম সাফি, মেঘা ঘোষ, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিয়াউল হক, মোছা. শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, হাসিনা আকতার নিপা, জাবেদ পাটওয়ারী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুন্নাহার পাপিয়া, কামরুননেসা দোলন, তন্ময় বিশ্বাস, এস,এম, লিমন, নুসরাত জাহান বন্যা, বর্ষা ঘোষ, সবুজ খান, তপু চন্দ্র দাস, মনির হোসেন চিশতি, রাবেয়া রাবু, সাব্বির আহমেদ।
‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ নাটকের গল্পে দেখা যায় সম্রাট শাহরিয়ার তার প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছেন। ধীরে ধীরে তিনি এক নারীবিদ্বেষী শাষকে পরিণত হন। প্রতিদিন তিনি রাজ্যের একজন করে অবিবাহিত নারীকে বিয়ে করেন এবং তাকে শর্ত দেন, যদি তাকে গল্প শুনিয়ে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে না পারে, তবে ভোর হতেই সেই নারীকে হত্যা করা হবে। একে একে নিহত হলেন রাজ্যের প্রায় সব নারী, বাকী রইলেন কেবল উজিদের দুই কন্যা। বড় কন্যার নাম শেহেরজাদ। এবার পালা আসে তার। দারুণ বুদ্ধিমতি শেহেরজাদ শুরু করেন গল্প বলা। বলতে বলতে পেরিয়ে যায় হাজার রাত্রি। প্রতিটি গল্পই ধীরে ধীরে সম্রাট শাহরিয়ারকে পুনরায় প্রেমে পূর্ণ মানুষ রূপে গড়ে তোলে। শাহরিয়ার নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
কথিত আছে যে, শেহেরজাদের বলা সেই সব গল্পেরই একটি হলো ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’।এ গল্পে কাঠুরে আলিবাবা কাঠ কাটতে গিয়ে বনের ধারে এক গুহায় আকস্মিকভাবে ডাকাতদলের গোপন ধনের ভাণ্ডারের সন্ধান পায়। কিছু সম্পদ নিয়ে ফিরে আসে সে। লোভে পড়ে তার ভাই কাসিমও যায় গুহায় এবং ডাকাতদের হাতে ধরা পড়ে প্রাণ হারায়।
আলিবাবা ভাইয়ের দেহ ফিরিয়ে এনে দাফন সম্পন্ন করে। কিন্তু ডাকাতদল আলিবাবার সন্ধানে বের হয় এবং ছদ্মবেশে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বুদ্ধিমতী মার্জিনা - যে একজন গৃহকর্মী এবং পরে আলিবাবার পুত্রবধূ - কৌশলে ডাকাতদলের দুরভিসন্ধি ব্যর্থ করে দেন। সমাজে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ডাকাতদের বিচারের আওতায় আনা এবং তাদের লুট করে আনা সম্পদ সাধারণের মাঝে বন্টন করার আভাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয় গল্পটি।
নাটকটির নির্দেশনা সহযোগী ও আলো পরিকল্পনায় রয়েছেন, আহম্মেদ রাউফুর রহিম, সংগীত পরিকল্পনা রুদ্র সাওজাল কাব্য ও রাইসা হাসিন, গীত প্রশিক্ষণ আজিজুল হিমেল, আবহধ্বনি পরিকল্পনা : রুদ্র সাওজাল কাব্য নৃত্য ও দেহবিন্যস সৈয়দা শামসি আরা, পোশাক পরিকল্পনা মুনিরা মাহজাবীন মিমো, দ্রব্য ও অলংকার পরিকল্পনা সৈয়দা শামসি আরা ও উম্মে হানী।
মন্তব্য করুন