
বিশ্বজুড়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চলচ্চিত্র সমালোচকদের জন্য উন্মুক্ত হলো জেমস ক্যামেরন পরিচালিত মহাকাব্যিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাভাটার’ এর তৃতীয় পর্ব ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। মুক্তির আগেই সাংবাদিকদের প্রথম প্রতিক্রিয়াগুলি জানিয়ে দিচ্ছে, এই ছবিটি শুধুমাত্র একটি সিনেমা নয়, বরং এটি ‘চূড়ান্ত সিনেমাটিক চমক’ এবং ‘দৃষ্টি ও আবেগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার’ এক নতুন দলিল।
সমালোচকরা একবাক্যে স্বীকার করেছেন, ক্যামেরন এই ছবিতে ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্ত পূর্বের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। একাধিক সাংবাদিকের মতে, এই ছবিটি ‘অকল্পনীয় উপায়ে প্রযুক্তিগত সীমানা ঠেলে দিয়েছে’।
চলচ্চিত্র সমালোচক কোর্টনি হাওয়ার্ড তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘৩টি ছবি পরেও জেমস ক্যামেরনের সেই ম্যাজিক বা ‘সস’ রয়ে গেছে। তিনি মহাকাব্যিক দর্শনকে আবেগগতভাবে শক্তিশালী করে তুলেছেন। একটি গৌরবময় মহাকাব্য। সাহসী, উজ্জ্বল এবং সব দিক থেকে অসাধারণ সিনেমা হলগুলো এই ধরনের অভিজ্ঞতার জন্যই তৈরি হয়েছিল।"
প্রথম কিস্তি থেকেই ‘অ্যাভাটার’ শুধু তার দর্শনীয় দৃশ্যের জন্য পরিচিত ছিল না, এর আবেগপূর্ণ গল্পও দর্শকদের আকর্ষণ করত। ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ এর ক্ষেত্রেও সেই ধারাই বজায় আছে। সমালোচকদের মন্তব্য অনুসারে, ক্যামেরন প্যান্ডোরার চিত্রায়ণকে ‘ভিজ্যুয়াল এবং আবেগ’ এর দিক থেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এটি দর্শকদের মনে করিয়ে দিচ্ছে যে একটি ভালো চলচ্চিত্রের আবেগীয় প্রভাব ঠিক কতটা গভীর হতে পারে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে বিশাল সাফল্য অর্জন করবে এবং দর্শকদের জন্য এক অবিস্মরণীয় সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন