গরম ভাতের সঙ্গে মাছের ঝোলের স্বাদই যেন অন্যরকম! বিশেষ করে সেই ঝোলে যদি থাকে মশলার ঝাঁজ, কালিজিরার দারুণ ঘ্রাণ আর বেগুনের নরম মিষ্টি স্বাদ, তাহলে তো কথাই নেই। যাদের মাছ খেতে ভালো লাগে, কিন্তু সময় বাঁচিয়ে সহজ রেসিপি খুঁজছেন, তাদের জন্য দারুণ হবে এই কালিজিরা ফোড়নে বাটা মাছ বেগুনের ঝোল। খুব সাধারণ কিছু উপকরণে, অল্প সময়ে রান্না করা যায় এই স্বাদে ভরপুর পদ। চলুন, শিখে নিই রেসিপিটি।
উপকরণ
- বাটা মাছ – ৭–৮টি
- লবণ – স্বাদমতো
- বেগুন – আধা কেজি (লম্বা টুকরা করে কাটা)
- হলুদগুঁড়া – দেড় চা–চামচ
- মরিচগুঁড়া – দেড় চা–চামচ
- তেল – ১/২ কাপ
- আস্ত কালিজিরা – ১ চা–চামচ
- পেঁয়াজবাটা – ২ টেবিল–চামচ
- রসুনবাটা – ১ চা–চামচ
- আদাবাটা – ১ চা–চামচ
- ধনেবাটা – আধা চা–চামচ
- জিরাবাটা – আধা চা–চামচ
- গরম পানি – ২ কাপ
- কাঁচা মরিচ – ৫–৬টি
- ধনেপাতা – স্বাদমতো
- পানি – প্রয়োজনমতো
প্রস্তুত প্রণালি
১. মাছের প্রস্তুতি:
- প্রথমেই মাছ ভালোভাবে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।
- মাছের গায়ে হালকা করে ছুরি চালিয়ে একটু চিরে নিন।
- এবার আবার ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
- সামান্য হলুদ, মরিচগুঁড়া আর লবণ মাখিয়ে মাছগুলো তেলে হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
২. বেগুন ভেজে নিন:
- বেগুন লম্বা টুকরায় কেটে ধুয়ে নিন।
- হলুদ আর লবণ মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
- তেলে হালকা ভেজে তুলে রাখুন।
মসলা কষানো থেকে রান্না:
- কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে কালিজিরা ফোড়ন দিন।
- এরপর পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, আদাবাটা, ধনেবাটা, জিরাবাটা এবং গুঁড়া মসলা দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন।
- প্রয়োজনে অল্প অল্প করে পানি দিন, যাতে মসলা কষাতে সুবিধা হয়।
- সব একসঙ্গে রান্না করুন
- মসলার কষা হয়ে গেলে ভাজা বেগুন এবং মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন।
- এবার গরম পানি ঢেলে ঢেকে দিন।
- ঢাকনা খুলে কাঁচা মরিচ দিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না করুন।
- রান্না শেষের দিকে ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।
- গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
কালিজিরার ঘ্রাণে আর বেগুনের নরম স্বাদে এই মাছের ঝোল হবে আপনার পরিবারের পছন্দের একটি পদ। ট্রাই করে দেখুন, একবার খেলেই মন ভরে যাবে