
নতুন জুতা পড়তে কার না ভালো লাগে। কিন্তু নতুন জুতো পায়ে দিলে অস্বস্তি লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ফোস্কাও পরে যায়। নতুন জুতা পায়ে দিলেই এই সমস্যা কমবেশি প্রায় সবারই হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ঘায়ের দিকে এগিয়ে যায়। ফোস্কা পড়লে পরবর্তী ২-৩ দিন হাঁটা চলা করাও সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায় সাধারণত চামড়ার জুতাতেই ফোসকা বেশি পড়ে। তাই নতুন জুতা কিনে পরার আগের রাতে জুতার ভেতরের শক্ত অংশগুলোতে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারকেল তেল ঘষে রাখুন। তাহলে জুতা কিছুটা নরম হবে। এতে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা কমে যায়।
জুতা পরার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারকেল তেল মেখে নিতে পারেন। এতেও পা আঘাত থেকে রক্ষা পাবে।
অনেকেই পছন্দের জুতা মাপমতো না পেলে এক সাইজ ছোট জুতাও ব্যবহার করেন। এটা কখনো করা উচিত নয়। সঠিক মাপের জুতা না পেলে অন্য জুতা পরবেন।
এ ছাড়া নতুন জুতা পরে দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। কয়েক দিন ব্যবহারের পর তা পায়ের সঙ্গে খাপ খেয়ে যাবে, তখন সেটা পরে নিয়মিত হাঁটতে পারবেন। এই নিয়মগুলো মেনে চললে নিশ্চিন্তে আপনি নতুন জুতা পরতে পারবেন।
তবে এসব মেনেও যদি পায়ে ফোস্কা পড়ে, তা হলে উপায়? ১) ফোস্কা নিয়ে কষ্ট করে হাঁটাচলা করতে যাবেন না। ফোস্কার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ড এড লাগান। ২) ফোস্কা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে বার তিনেক মধু ও অ্যালো ভেরা জেল লাগান। এই দুই উপাদান ফোস্কার ক্ষত শুকোতে সাহায্য করে। ৩) ফোস্কার জায়গায় টুথপেস্ট ব্যবহার করলেও আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফোস্কা থেকে রেহাই পেতে বরফ দারুণ কাজের। ৪) সামান্য জলের সঙ্গে আটা গুলে থকথকে মণ্ডটি ফোস্কার উপর লাগাতে পারেন। এতেও ফোস্কার ক্ষত শুকোয় তাড়াতাড়ি। তবে বাড়াবাড়ি রকমের ক্ষত তৈরি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিসেপটিক লাগান।
মন্তব্য করুন