
		জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে জুলাই সনদে তথা সংস্কারের বিষয়ে সার্বিক ঐকমত্যের পূর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে এবং জুলাই ঘোষণার মূল দাবি উত্থাপনকারী ছাত্র নেতাদের গতকাল মঞ্চে অনুপস্থিতি সকল সংশয়ের অবসানের ইঙ্গিতবহ নয়।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে ড. ইউনূসের নির্বাচন বিষয়ক সুষ্পষ্ট ঘোষণা নিশ্চিতভাবেই বহু অনিশ্চয়তার আশংকা দূর করেছে। গণতন্ত্র উত্তরণে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। ইউনূস সরকার সে পথেই হাঁটতে শুরু করেছে। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের সার্বিক সাফল্যের ক্ষেত্রে সকল অংশীজনের প্রত্যাশা পূরণকে অনিস্পন্ন রেখে নির্বাচনী ট্রেনে ওঠার যে তাড়াহুড়া তাতে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়।
গোলাম সারোয়ার মিলন ও শওকত মাহমুদ জানান, জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে ঐতিহাসিক ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের (বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত) নেতাদের উপস্থিতিতে ড. ইউনূস যে ঘোষণা পাঠ করেন, তার বিষয়বস্তু অনেকাংশে গণচেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও রাজনৈতিক ইতিহাসের বয়ানে অসম্পূর্ণতা লক্ষণীয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনতা পার্টি বাংলাদেশ শুরু থেকে জুলাই ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। এ ঘোষণার মূল দাবি উত্থাপনকারী ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দের গতকালের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি বা গতকাল কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঘোষণা পর্বটিকে এড়িয়ে যাওয়া নতুন করে উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে। কেননা এ সরকারের মূল ভিত্তি হচ্ছে ছাত্র নেতৃবৃন্দের বিপ্লবী চেতনা।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই ঘোষণার পাশাপাশি জুলাই সনদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে এই সনদ প্রণীত না হলে শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর্বটি সমাপ্ত হলে জাতি আবার স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারে বলে আশংকা আছে। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন, শুধুমাত্র ঘোষণার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করলেই চলবে না। জুলাই সনদ সর্বসম্মতভাবে প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে অর্ন্তবর্তী সরকারকে অধিকতর মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
মন্তব্য করুন