
		কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যে ক’জন তরুণ আলোচনায় এসেছেন তার মধ্যে অন্যতম জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. মাহমুদা মিতু। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের মধ্যে তাকে নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে সম্প্রতি করা তার একটি মন্তব্য নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ চর্চা হচ্ছে। তিনি বলেছেন শাহবাগের ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনা মানে আওয়ামী লীগের কালচার একটিভ করা। শাহবাগের যে ন্যারেটিভকে বাংলাদেশের একটা শিশু বাচ্চাও ঘৃণা করে ,সেই ন্যারেটিভকে ফিরিয়ে আনা মানে আওয়ামী লীগের কালচার একটিভ করা। মঙ্গলবার রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ডা. মাহমুদা মিতু এসব মন্তব্য করেন।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, চেতনার মন্দির ধানমন্ডি ৩২ কে ঘৃণার সঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেইভাবেই নতুন করে গড়ে ওঠা চেতনাব্যবসা গুড়িয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের রাজাকার ন্যারেটিভ ধারণ করা যে কোনো ক্ষুদ্রগোষ্ঠী আর আওয়ামীলীগের কালচারাল সেলের গোষ্ঠীর কঠোর দমন চলমান রাখতে হবে ।
তিনি বলেন, শাহবাগের আওয়ামীলীগের ন্যারেটিভ ঘৃণা করতে করতেই রাজনীতি বুঝেছি। হাসিনাকে ঘৃনা করতে শিখেছি। শাপলা চত্ত্বর থেকে শুরু করে সেইসময়কার নাস্তিকদের (পড়ুন এন্টিইসলামিস্টদের আচরণ) দেখে দেখে আরো প্রতিবাদী হয়ে উঠেছি। আমার সেই ফেবু জীবনের ১৪ বছরের দাগ কাঁটা অনেক ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো ইসলামপন্থীদের উপর অত্যাচার। সেই সময়ে আমার মত জিন্স প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেড়ানো মেয়েটা শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায়ই শাহবাগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব বলেন, ২৪ যেমন আমার জন্য ট্রমার তেমনি সেসকল অত্যাচারের ভিডিও ,ছবি ,ডাইনিটার রং মেখে শুয়ে থাকা বলা সেই ভয়েজ কিংবা বিশ্বজিৎকে মারার সেই দৃশ্যও আমার জন্য ট্রমার। আমরা সেই সময় থেকেই একটা যুদ্ধ চলমান রেখেছি। এসব বললে আবার জামায়াতি কিংবা ইসলামি আন্দোলন কিংবা হেফাজতের লোক বলে ট্যাগ দিতে সুবিধা হয়। ডা. মাহমুদা মিতু বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনের আমার ফেসবুকের জীবন হচ্ছে ১৪ বছর।এই ১৪ বছরে হাজারবার আমাকে রাজাকার বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ এ মানুষ শহীদ হওয়ার পর কোন ফর্মে এই শাহবাগীদের সেই পুরনো আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করতে দেয়া হবে না। ৭১ আমরা সকলেই ধারন করি তাই বলে একাত্তর বেচে দমনপীড়নের দিন আর আসতে দেয়া যাবে না।’
ডা. মাহমুদা মিতুর এইসব মন্তব্যর প্রশংসা করেছেন অনেকেই। সাহসী উচ্চারণের অনেকেই এনসিপির তরুণ এই নেতাকে বাহবা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ সেই স্বপ্ন এই সব তরুণদের হাত ধরেই বাস্তায়িত হবে।
মন্তব্য করুন