
		স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (ব্রামা) সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর বনানী থানায় ব্রামার পক্ষ থেকে এই মামলা করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে আসাদ সংগঠনের চাঁদা আদায় বই ও বিবিধ আদায় রেকর্ড গোপন করে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে একটি স্থগিত অডিট ফার্মের মাধ্যমে জাল অডিট রিপোর্ট তৈরি করে সেটি রেকর্ডে যুক্ত করেন।ব্রামার অভিযোগ অনুযায়ী, আসাদের এ কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি ও আর্থিক স্থিতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি; বরং প্রকাশ্যে সংগঠনকে ক্ষতির হুমকি দিয়েছেন। বনানী থানার ওসি (তদন্ত) জানান, অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার সুযোগে গায়ের জোরে ব্রামার সভাপতির পদ দখল করেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান। সংগঠনের নাম ও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তিনি নিম্নমানের কুলিং গ্যাস আমদানি করে দেশে সরবরাহ করেন, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে এসি বিস্ফোরণে প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া, ২০২৪ সালের শুরুতে ব্রামার একটি জাপান সফরকেও তিনি অপব্যবহার করেন। আমন্ত্রিত ২২ সদস্যের দলে তিনি এমন দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করেন, যারা কখনও ব্রামার সদস্য ছিলেন না। সফর শেষে ২০ জন ফিরে এলেও সেই দুজন আর দেশে ফেরেননি।
সূত্র বলছে, আসাদের লুটপাট চক্র এখনও সক্রিয়, এবং তিনি জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউএনডিপি’র একটি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। মানিকগঞ্জে অবস্থিত তথাকথিত সেই প্রকল্পে গিয়ে কোনো কার্যক্রম বা স্থাপনার অস্তিত্ব মেলেনি। এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন