
শেরপুরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাধ ভেঙ্গে বাড়ি ও ৬০০ হেক্টর আমন আবাদ বিনষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। বাড়ি ভাঙা পাঁচ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে উপজেলার খৈলকুড়া ও দীঘির পাড় এলাকায় মহারশি নদীর তীররক্ষা বাধ ভেঙ্গে পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এর ফলে প্রায় ৬শত হেক্টর আমন আবাদ নিমজ্জিত হয়ে যায়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছও।
এলাকাবাসীর দাবী বারবার একই জায়গয়ায় বাধ ভেঙ্গে মানুষের জান-মালের ক্ষতি হলেও স্থায়ী বাধ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দ্রুত বাধ নির্মাণের দাবী জানান ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
দ্রুত এই তীররক্ষা বাধ সংস্কার করা না হলে আমন আবাদের বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
অন্যদিকে উজানের পানি নেমে গেলেও বাড়ছে নিম্নাঞ্চলের পানি। রামের কুড়া, খৈলকুড়া, বনকালী, ভাটপাড়া, বৈরাগী পাড়া, দীঘির পাড়, বন্ধভাটপাড়া, বনগাও জিগাতলা সহ প্রায় ১৫ টি গ্রাম ঢলের পানিতে নিমজ্জিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহান হোসেন প্রতিবেদককে জানান, উজানের পানি নেমে গেছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, স্থায়ী বাধ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন