
		ওজন কমাতে আর না খেয়ে দিন কাটানোর দরকার নেই। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা কিটো ডায়েটের মতো কড়াকড়ি নিয়মও মানতে হবে না। যৌবন ধরে রাখতে ও শরীরের প্রদাহ কমাতে এখন নতুন ভরসা ‘ফাস্ট-মিমিকিং ডায়েট’। কম সময়ে ওজন কমাতে এবং শরীরকে ভেতর থেকে তরতাজা রাখতে অনেকেই ঝুঁকছেন এই ডায়েটের দিকে। এমনকি পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) বা হজমের সমস্যা থাকলেও এই ডায়েট উপকারী হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কী এই ফাস্ট-মিমিকিং ডায়েট? এই ডায়েটের মূল কথা—খাবার কমানো, কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়। ক্যালরি মেপে, অল্প অল্প করে খেতে হবে। চাইলে ৫ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত করা যায়। এতে প্রাণিজ প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমনভাবে খাবার খেতে হয় যাতে পেট পুরোপুরি ভর্তি না হয়। এতে শরীরে জমে থাকা মেদই শক্তির উৎস হয়। লাভ হয় দুইভাবে—
এক গবেষণা বলছে, নিয়ম মেনে এই ডায়েট করলে যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব। এমনকি অ্যালঝেইমার্সের মতো অসুখের চিকিৎসাতেও এই ডায়েটকে কাজে লাগানোর কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
কীভাবে খাবেন? ফাস্ট-মিমিকিং ডায়েটে প্রতিদিন কত ক্যালরি খাবেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৫ দিনের জন্য এই ডায়েট করা হয়। ক্যালরির পরিমাণ ধাপে ধাপে কমতে থাকে।
প্রথম দিন- ১০০০-১১০০ ক্যালরি
দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম দিন- ৭০০-৮০০ ক্যালরি
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উপর বেশি জোর দিতে হবে। খাবারের পরিমাণ প্রথম দিনের চেয়ে আরও কমাতে হবে।
এই ডায়েট করতে গেলে প্রচুর পানি খেতে হবে। দুধ চা বা সাধারণ কফি চলবে না। হার্বাল টি খেতে হবে। সবজির মধ্যে বেশি রাখুন পালংশাক, ব্রকোলি, লাউ, ফুলকপি, টমেটো, গাজর। এগুলোতে ক্যালরি কম, ফাইবার বেশি। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য বাদাম, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, বা অ্যাভোকাডো রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
তবে মনে রাখবেন, এই ডায়েটের সময় ক্যালরি খুব কম থাকে। তাই ভারী শরীরচর্চা না করাই ভালো।
মন্তব্য করুন