মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

৩০ পেরোতেই মাথায় টাক! সতর্ক হোন আগেই

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ত্রিশ বছরেই আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবিতে টাকের ছাপ দেখতে শুরু করেছেন? আপনি একা নন, আপনার মতো অনেকেই এই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। আগে যেখানে চল্লিশ পেরোলে টাক পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতো, এখন সেটি ত্রিশের কোঠাতেই ঘনিয়ে আসছে। এর পেছনে যেমন বংশগত কারণ আছে, তেমনি আছে আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস, খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপের প্রভাবও।

চুল পড়ে যাওয়ার প্রথম সঙ্কেত পেলে চুপ করে বসে থাকবেন না। কারণ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই বেশি কার্যকর। আসুন জেনে নিই কেন এত কম বয়সেই চুল পড়ছে এবং কীভাবে আপনি এটিকে রুখতে পারেন।

বংশগত প্রভাব: পুরুষদের টাক পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আপনার ঝুঁকি বেশি।

স্থবিরতা: অনেকেই অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।

মানসিক চাপ: অতিরিক্ত টেনশন শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এটি চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়।

অপর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম না হলে চুলের ফলিকল ঠিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না। ফলেই চুল পড়া শুরু হয়।

পুষ্টিহীন খাবার: ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, চুল দুর্বল হয়ে যায়।

হরমোনের সমস্যা: ডিএইচটি (ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন) হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে টাক পড়তে শুরু করে।

টাক পড়া প্রতিরোধে কী করবেন? চুল পড়া কমাতে বা থামাতে আগে থেকেই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে টাক পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

পুষ্টিকর খাবার খান

  • প্রোটিন: ডিম, মটরশুঁটি, চর্বিহীন মাংস চুল মজবুত রাখে।
  • আয়রন ও জিঙ্ক: পালংশাক, ডাল, বাদাম খেতে ভুলবেন না। এগুলো চুলের গোঁড়াকে শক্ত করে।
  • ভিটামিন ই ও বায়োটিন: অ্যাভোকাডো, বীজ, বাদাম চুলের ফলিকল সুস্থ রাখে।

মাথার ত্বকের যত্ন নিন

  • সালফেটবিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে।
  • নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল, নারকেল তেল বা বাদামের তেল দিয়ে মাথায় হালকা মালিশ করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন

  • পেঁয়াজের রস: এতে থাকা সালফার কোলাজেন তৈরি করে। ২০ মিনিট মাথায় লাগিয়ে রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
  • অ্যালোভেরা: প্রদাহ কমায়, চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। সপ্তাহে অন্তত একদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
  • গ্রিন-টি: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডিএইচটি হরমোন কমায়। ঠাণ্ডা গ্রিন-টি মাথার ত্বকে লাগান।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন

  • রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট ও হিট-স্টাইলিং কমিয়ে দিন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন, মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশনে মন দিন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

চুলের যত্নে এই অভ্যাসগুলো রাখতে পারলে কম বয়সেই টাকের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে এসব পদ্ধতি চেষ্টা করেও যদি চুল পড়া কম না হয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা