
		মাত্র ত্রিশ বছরেই আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবিতে টাকের ছাপ দেখতে শুরু করেছেন? আপনি একা নন, আপনার মতো অনেকেই এই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। আগে যেখানে চল্লিশ পেরোলে টাক পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতো, এখন সেটি ত্রিশের কোঠাতেই ঘনিয়ে আসছে। এর পেছনে যেমন বংশগত কারণ আছে, তেমনি আছে আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস, খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপের প্রভাবও।
চুল পড়ে যাওয়ার প্রথম সঙ্কেত পেলে চুপ করে বসে থাকবেন না। কারণ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই বেশি কার্যকর। আসুন জেনে নিই কেন এত কম বয়সেই চুল পড়ছে এবং কীভাবে আপনি এটিকে রুখতে পারেন।
বংশগত প্রভাব: পুরুষদের টাক পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ ‘মেল প্যাটার্ন বল্ডনেস’। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে আপনার ঝুঁকি বেশি।
স্থবিরতা: অনেকেই অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন। এতে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা চুলের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।
মানসিক চাপ: অতিরিক্ত টেনশন শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এটি চুলের ফলিকল দুর্বল করে এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম না হলে চুলের ফলিকল ঠিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না। ফলেই চুল পড়া শুরু হয়।
পুষ্টিহীন খাবার: ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, চুল দুর্বল হয়ে যায়।
হরমোনের সমস্যা: ডিএইচটি (ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন) হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে টাক পড়তে শুরু করে।
টাক পড়া প্রতিরোধে কী করবেন? চুল পড়া কমাতে বা থামাতে আগে থেকেই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে টাক পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো সম্ভব।
পুষ্টিকর খাবার খান
মাথার ত্বকের যত্ন নিন
প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করুন
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন
চুলের যত্নে এই অভ্যাসগুলো রাখতে পারলে কম বয়সেই টাকের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে এসব পদ্ধতি চেষ্টা করেও যদি চুল পড়া কম না হয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
মন্তব্য করুন