
		শুধু বড়রাই নয়, ছোটরাও নাক ডাকে। আর সেটা যদি নিয়মিত হয়, তাহলে কিন্তু তা হেলাফেলার মতো নয়। বরং এই নাক ডাকা হতে পারে কোনও শারীরিক সমস্যার উপসর্গ।
পাঁচ বছরের এক মেয়ের কথা ধরুন। ঘুমের সময় তার নাক ডাকার আওয়াজে ঘরের অন্যরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারত না। প্রথমে মা-বাবা ব্যাপারটা ততটা গুরুত্ব না দিলেও পরে দেখা দিল একের পর এক সমস্যা—ঘুমের সময় মুখ বন্ধ না থাকা, নিঃশ্বাসে কষ্ট, ঘন ঘন সর্দি-কাশি, গলা শুকিয়ে যাওয়া, খাবার গিলতে সমস্যা, এমনকি কানে কম শোনা। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে গিয়ে জানা গেল, এর পেছনে রয়েছে ‘অ্যাডিনয়েড’ নামে একটি গ্রন্থি।
অ্যাডিনয়েড কী?
অ্যাডিনয়েড হচ্ছে শিশুদের নাকের পেছনের দিকে একটু ওপরের দিকে থাকা একটি লসিকা গ্রন্থি। সাধারণত এটি শিশুকে বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচায়। কিন্তু অনেক সময় এই গ্রন্থি ফুলে গেলে দেখা দেয় নানান সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাস, কথা বলা এমনকি মুখের গঠনে প্রভাব পড়ে। দাঁতের গঠনও বিকৃত হতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস কিংবা নিউমোনিয়ার মতো জটিল রোগও হতে পারে।
অ্যাডিনয়েডের সমস্যার প্রধান উপসর্গই হলো নাক ডাকা।
তবে শুধুই অ্যাডিনয়েড নয়, আরও কিছু কারণেও শিশুরা নাক ডাকে। যেমন—
তাই শিশুর নাক ডাকা নিয়ে অবহেলা নয়। সমস্যাটা যদি নিয়মিত হয়, সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকে—তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুম যেন নিরবচ্ছিন্ন ও শান্তিময় হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়াটা অভিভাবকদেরই দায়িত্ব।
মন্তব্য করুন