মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

ত্বকের রঙের সাথে মানানসই নেইল পলিশ বাছাইয়ে হিমশিম খাচ্ছেন?

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম

প্রতিদিনকার সাজ-পোষাকে একটা ছোট্ট বিশেষত্ব এনে দেয় রঙিন নখ। তাই আজকাল নানা ঢঙে নেইল পলিশ লাগানোর চল শুরু হয়েছে। কিন্তু কোন রঙটা কাকে মানায় এ নিয়ে দোনোমোনায় থাকে অনেকেই। এই সিদ্ধান্তহীনতা থেকে বাঁচতে এমন রঙ বেছে নিতে হবে যা সব ত্বকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় রঙ-কারণ একবার যদি ভুল রং বেছে নেওয়া হয়, তবে তা অন্তত দুই থেকে চার সপ্তাহ ধরে নখে থেকে যায়।

চেরি লাল: লালের নানান শেড আছে। তারমধ্যে চেরি ফলের লাল রঙটা সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন্য। এটি ফ্যাশনের জগতে শক্তির প্রতীক বলে পরিচিত ও ব্যবহারকারির মাঝে ফুটিয়ে তোলে আভিযাত্য। এই পলিশ ত্বকের বিভিন্ন আন্ডারটোনের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

মার্কিন ম্যানিকিউর বিশেষজ্ঞ ডাইমাই নুগুয়েন বলেন, “সঠিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ লাল রং গরম ও ঠাণ্ডা দুই ধরনের ‘আন্ডারটোনকেই’ সামঞ্জস্য করে। এতে হাত উজ্জ্বল দেখায়, মৌসুম যাই হোক না কেন।”

এটি মসৃণ এবং চকচকে হয়, যা নখকে একটি পালিশ করা চেহারা দেয়। আর এ রঙ মানিয়ে যাওয়া সব ধরনৈর ত্বকের সাথে। সাধারণ বাজারে কেনাকাটার সময়ও লাল নেইল পলিশ পরলে নিজেকে ফ্যাশন গালিচায় হাঁটার মতো মনে হতে পারে।

ন্যুড বা ত্বকের রঙ: ন্যুড রঙ বলতে বেইজ, বাদামী, ক্রিম, হালকা গোলাপী বা ট্যান শেড বোঝায় যা যেকোনো ত্বকের সঙ্গে মানানসই এবং পরিশীলিত ও ক্লাসিক লুক দেয়। এই ধরনের নেলপলিশ সব ধরনের পোশাক এবং অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত। এই রঙ চামড়ার রঙের সাথে মিলে গিয়ে নখে দেবে আলাদা উজ্জ্বলতা। হাল ফ্যাশনে এর জনপ্রিয়তা অনেক। এর বিশেষত্ব হল রংয়ের গ্রেডেশন বা ধাপে ধাপে গাঢ়-হালকা পরিবর্তন নখে পরিবর্তন আনে ও আরও সুন্দর দেখায়। পাশাপাশি নখ বাড়তে থাকলে অস্বস্তিকরও লাগে না। এ রং না খুব শীতল না খুব উষ্ণ। এতে সেটা কঠিন বা তীব্র মনে হয় না, বরং স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে যায়।

ল্যাভেন্ডার বা জারুল রঙ: মবসন্তে প্রকৃতি যেমন থোকায় থোকায় জারুল ফুলে হাল্কা বেগুনী রঙে ছেয়ে থাকে, তার একটা ছোট্ট সংস্করণ নিজের হাতে সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করেন অনেকে। এই রঙটি পৃথিবীব্যাপী ল্যাভেন্ডার নামে বেশি পরিচিত এবং হাল ফ্যাশনে এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এটি আসলে গোলাপি ও বাদামির নিখুঁত মিশ্রণ। ফলে এটি না খুব ঠাণ্ডা না খুব উষ্ণ বরং মাঝামাঝি এক সুষম অবস্থান তৈরি করে। এটি সহজেই ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। যখন সাজগোজ করতে চান তবে গাঢ় রংয়ের ঝামেলা চান না, তখন মভ সবচেয়ে ভালো পছন্দ।

সাদা: নখের রঙ হিসেবে সাদা একটি স্টাইলিশ পছন্দ যা পরিচ্ছন্ন ও সতেজ অনুভূতি দেয়। সব ত্বকের সঙ্গেই মিলে যায়। সাদার মাঝেও বিভিন্ন শেড দেখতে পাওয়া যায়। এখানে ভিন্নতা আনতে কেউ কেউ নরম লিনেন ধাঁচের সাদা ব্যবহার করেন, আবার কেউ সাহসী ও উজ্জ্বল সাদা বেছে নেন। তবে ভাল ব্রান্ডের হওয়াটা আবশ্যক, নয়তো নখের সৌন্দর্য কমিয়ে ফেলবে।

ম্যাট মেজেন্টা: যারা একটু গাঢ় পছন্দ করেন, তারা মেজেন্টা ব্যবহার করতে পারেন, তবে ম্যাট নেইল পলিশ বেশি মানানসই।

গাঢ় বেরি: আরেকটি সাহসী বিকল্প হল বেরি রং। এর মধ্যে রয়েছে ক্র্যানবেরি, প্লাম বা মেরলো শেড। শরৎ ও শীতকালে এই রং বিশেষ জনপ্রিয় হলেও সারা বছরই মানানসই।

এটি উষ্ণ ও ঠাণ্ডা দুই ধরনের ত্বকের সঙ্গেই মিলে যায়। চাইলে এর ওপরে হালকা ঝিলমিল বা গ্লিটার যোগ করা যায় অতিরিক্ত আভিজাত্যের জন্য।

ফ্রেঞ্চ টিপস: যদিও এটি আসলে কোনো রং নয়, তবে ফ্যাশনপ্রেমীরা একে সর্বজনীনভাবে আকর্ষণীয় বলে মনে করেন।

সেলিনা পেইন-ফেরবি বলেন, “ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর হল চিরন্তন ক্লাসিক। এটি আঙুল লম্বা দেখায় এবং এক ধরনের পরিশীলিত সমাপ্তি দেয়।” এখন আধুনিকভাবে এর নানান রূপ দেখা যাচ্ছে অতি সূক্ষ্ম মাইক্রো ফ্রেঞ্চ থেকে শুরু করে ওম্ব্রে ফ্রেঞ্চ পর্যন্ত।

গোলাপি ন্যুড: এটি এক ধরনের আভা বাড়ানো ধাঁচের রং।ইমাই নুগুয়েন বলেন, “গোলাপি আন্ডারটোন ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে, আর নিরপেক্ষ বেস এটিকে সব ধরনের ত্বকের জন্য মানানসই করে।”

এছাড়া এটি বর্তমানে জনপ্রিয় ‘নিঃশব্দ বিলাসিতা’ বা শান্ত অথচ আভিজাত্যপূর্ণ ধারার সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে যায়।

গ্রেইজ (ধূসর-বেইজ মিশ্রণ): গ্রেইজ হল ধূসর ও বেইজ-এর অভিনব সংমিশ্রণ। এতে ধূসর অংশ ঠাণ্ডা ও মাটির মতো আবহ তৈরি করে। আবার বেইজ অংশ উষ্ণতা যোগ করে। ফলে এটি একই সঙ্গে নিরপেক্ষ ও সাহসী মনে হয়। এই রং একদিকে সূক্ষ্ম, অন্যদিকে আবার দারুণ নজরকাড়া।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
বিকেলের নাস্তায় মজাদার পালংশাকের লুচি
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
যেভাবে আয়নার দাগ দূর করবেন
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
গলা ব্যথায় এড়িয়ে যাবেন যেসব খাবার
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা