
		মানবজীবনের এক অবধারিত অধ্যায় হলো বৃদ্ধ বয়স। এ বয়সে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন স্বাভাবিক। ফলে সঠিক যত্ন, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, বিশেষ করে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা অনেক বেশি।
বয়স বাড়লে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। হাড় দুর্বল হয়ে যায়, পেশীর শক্তি কমে যায়, জয়েন্ট শক্ত হয়ে পড়ে, হাঁটা-চলায় সমস্যা হয় এবং অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। এসব সমস্যার উপশমে ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বয়স্কদের সুস্থ ও স্বাবলম্বী জীবন যাপনে সহায়তা করে। এটি শুধু রোগ নিরাময়ের জন্য নয়, বরং সুস্থ বার্ধক্য নিশ্চিত করার অন্যতম কার্যকর উপায়।
ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা
১. বৃদ্ধ বয়সে অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন না। শরীরচর্চার বিকল্প হিসেবে ফিজিওথেরাপি সেই ব্যায়ামের জায়গা পূরণ করে শরীরকে সক্রিয় রাখে।
২. ফিজিওথেরাপি হাড় ও জয়েন্টকে নমনীয় রাখে, ব্যথা কমায় এবং চলাফেরা সহজ করে।
৩. বয়সের কারণে পেশীর টান কমে যায়, ফলে ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পেশী শক্তিশালী ও কার্যকর থাকে।
৪. ডায়াবেটিস, পারকিনসন্স, স্ট্রোক বা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি জীবনযাত্রার মান বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. শরীরে ভারসাম্য উন্নত করার জন্য বিশেষ ফিজিও এক্সারসাইজ বয়স্কদের হঠাৎ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৬. শরীরচর্চা শুধু শরীর নয়, মনকেও চাঙ্গা রাখে। ফিজিওথেরাপি মানসিক চাপ কমায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং সক্রিয় জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে।
যারা বাইরে যেতে পারেন না
ঘরে বসেও কিছু সহজ ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন-
সতর্কতা ও করণীয়
বৃদ্ধ বয়সে ফিজিওথেরাপি শুধু চিকিৎসার অংশ নয়, বরং এটি একটি জীবনধারার সহায়ক উপাদান। নিয়মিত ফিজিও সেশন বয়স্কদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, সুস্থ জীবনযাপন ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই, সুস্থ ও সক্রিয় বার্ধক্যের জন্য ফিজিওথেরাপি নিঃসন্দেহে জরুরী।
মন্তব্য করুন