
		`আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি, ওয়াল কিল্লাতি, ওয়াজজিল্লাতি, ওয়া আউজুবিকা মিন আন আজলিমা আও উজলিমা।' -আবু দাউদ, হাদিস -১৫৪৪।
বাংলা অর্থ- ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দরিদ্রতা থেকে এবং আপনার কম দয়া থেকে ও অসম্মানী {জিললতি} থেকে এবং আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাচ্ছি কাউকে জুলুম করা থেকে অথবা কারো দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া থেকে।’
ইসলামি শরিয়তে অভাব দূর করার এবং রিজিক বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু দোয়া ও আমলের কথা বলা হয়েছে। এগুলোর নিয়মিত অনুশীলন আল্লাহ তায়ালার রহমত ও বরকত লাভের পথ খুলে দেয়।
ইস্তেগফার ও তওবা: অভাব-অনটনের একটি অন্যতম কারণ হলো গুনাহ। তাই গুনাহ থেকে ক্ষমা চেয়ে বেশি বেশি ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) করা উচিত।
সূরা ওয়াকিয়া পাঠ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, `যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াক্বিয়াহ পাঠ করবে, তাকে কখনো দারিদ্র্য স্পর্শ করবে না।' (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান)। এটি রিজিক বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি আমল।
সূরা ক্বাফ ও সূরা আর-রাহমান পাঠ: কিছু আলেমের মতে, এই সূরাগুলোও অভাব দূর করতে সাহায্য করে। সালাতুত তাসবিহ ও সালাতুল হাজাত: নিয়মিত সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করা এবং কোনো বিশেষ প্রয়োজন পূরণের জন্য সালাতুল হাজাত (বিশেষ নামাজ) আদায় করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা উচিত।
দান-সদকা: দান-সদকা করলে রিজিক বাড়ে এবং বিপদ দূর হয়। আল্লাহ তায়ালা দানকারীদের প্রতিদান দেন।
তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল: আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ ভরসা রাখা (তাওয়াক্কুল) এবং সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করে চলা (তাকওয়া) রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম উপায়। "যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য (মুক্তির) পথ করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দেন যা সে কল্পনাও করে না।' (সূরা তালাক: ২-৩)
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কে রিজিকে বরকত: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, আমি প্রিয় নবীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি- ‘যে ব্যক্তি তার জীবিকা প্রশস্ত করতে চায় এবং তার আয়ু বাড়াতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।’ -বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৫
মোদ্দা কথা, রিজিকের মালিক হলেন আল্লাহ। তিনি যাকে চান অঢেল রিজিক দান করেন। আমাদের কাজ হলো তার নির্দেশ অনুযায়ী পরিশ্রম করে হালাল উপার্জন করা।
মহান আল্লাহ সবাইকে অভাব-অনটন থেকে হেফাজতে থাকার তাওফিক দান করুন।
মন্তব্য করুন