
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পিতার হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শাহ আলম নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)কে জড়িয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে আসামীদের বিরুদ্ধে। এঘটনার প্রতিবাদ ও হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য ও তাঁর স্ত্রী জেনিন আরা চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সদস্য জানান, তার বড়ভাই একেএম সামসুল আলম ব্যাংকে চাকরি করতেন। ২০২১ সালে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর ইসলামী শরীয়া আইন অনুযায়ী মৃত বড় ভাই সামসুল আলমের তিন ভাগের এক অংশের মালিক হন তারই বাবা-মা। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করলে ভাতিজা ও ভাইয়ের পরিবার এনিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে কয়েক দফায় হামলাও চালায়। পরবর্তীতে বাবা-মা তাকে (শাহ আলমকে) ওয়ারিশ সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় এবং বড় ছেলে থেকে পাওয়া সম্পত্তির দাবি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ভাতিজা সোহেল সামাদ রুবেল, পারভেজ, সুমি ও খাদিজা আক্তার।
তিনি অভিযোগ করেন, ভাতিজা ও ভাইয়ের পরিবারের সদেস্যের নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ সদস্যের বাবা আবু হাসেম ঢালীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্য শাহ আলম নিজে বাদী হয়ে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা (নং–২০, তারিখ ১৬/৬/২০২৫) দায়ের করে। যা বর্তমানে পিআইবি তদন্ত করছে। কিন্তু মামলাটির তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে আসামিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যা প্রকৃত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় এসআই শাহ আলম তার পিতা হত্যার ন্যায্য বিচার দাবি ও পরিবারের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কমনা করেন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন